অভ্যুত্থান থেকে উত্থান—এই ব্যতিক্রমী পরিচয় নিয়েই আনুষ্ঠানিক রাজনীতির মাঠে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী ২২ জুনের আগেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেবে দলটি। লক্ষ্য—আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা।
ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর, এনসিপি সারা মে মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করে। এতে জনসাধারণের মাঝে দলের প্রতি আগ্রহ ও সাড়া পেয়েছে বলে দাবি নেতাদের।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,
“আমাদের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি হয়েছে। ঈদের পরে সাধারণ সভায় সেটি চূড়ান্ত হবে। নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী কমিটি ও সদস্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২২ জুনের মধ্যেই আবেদন জমা দিলে দ্রুত নিবন্ধন পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, তাদের দলীয় প্রতীক হবে এমন কিছু যা প্রযুক্তি, প্রকৃতি কিংবা গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটাবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানান,
“৩০–৪০টি প্রতীক নিয়ে কাজ করছি, তার মধ্যে ৮–১০টি শর্টলিস্ট করেছি। গ্রামীণ আবহ বা প্রকৃতির কোনো বিষয় প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
তাঁর ভাষায়, জেলা কমিটির কিছু কাজ বাকি থাকলেও কেন্দ্রীয় কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট–সেক্রেটারি ফরম্যাটে।
অনেকেই এনসিপিকে কেবল তরুণদের দল হিসেবে দেখে সমালোচনা করে আসছেন। এবার সেই ধারণা ভাঙতে দলটি অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের কথা জানিয়েছে।
মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন,
“এনসিপি কোনো ব্যক্তি বা পারিবারিক দল নয়। গণঅভ্যুত্থান থেকে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা চাই দেশপ্রেমিক মানুষদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
নিবন্ধন সম্পন্ন হলে, এনসিপি সরাসরি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছন তারা। নেতৃত্ব থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, দলটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়।
সানজানা
