
ছবি: সংগৃহীত
আসছে জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ইতোমধ্যে দলটি তাদের গঠনতন্ত্র, কেন্দ্রীয় কমিটি ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগৃহীত সদস্য তালিকা প্রস্তুতের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ২২ জুনের মধ্যেই দলটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক।
গত ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশের পর মে মাসজুড়ে তৃণমূলে পথসভা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দলটি জনসাধারণের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। নেতারা বলছেন, এই কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের আশানুরূপ সাড়া পেয়েছেন তারা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, “আমাদের গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি হয়েছে। ঈদের পর সাধারণ সভায় এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং সেখানে নানা পরামর্শ এসেছে। আশা করছি, ২২ জুনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া যাবে।”
প্রতীক নির্ধারণে প্রযুক্তি ও প্রকৃতি ভাবনায় নিবন্ধনের পাশাপাশি দলটি তাদের নির্বাচনী প্রতীক নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে। শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, প্রতীকের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, প্রকৃতি অথবা গ্রামীণ ঐতিহ্যের কোনো একটি বিষয়কে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইতোমধ্যে ৩০-৪০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে ৮-১০টি শর্টলিস্ট করা হয়েছে।
“আমরা এমন একটি প্রতীক বেছে নিতে চাই যা আমাদের মূল দর্শনের প্রতিফলন ঘটাবে। গ্রামীণ আবহ ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রতীক নির্ধারণের চেষ্টা করছি,”—বলেন নাহিদ।
গণতান্ত্রিক কাঠামো ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পরিকল্পনা এনসিপির নেতারা বলছেন, এটি কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক দল নয়। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এই দলটি গণতান্ত্রিক কাঠামোতেই পরিচালিত হবে। জেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ চলছে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ফরম্যাটে নেতৃত্ব নির্ধারণের চিন্তা রয়েছে।
তরুণদের দল হিসেবে পরিচিত এনসিপি এবার অভিজ্ঞদের সংযুক্ত করে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “দেশপ্রেমিক ও পেশাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত অনেক ব্যক্তিকে আমরা উপদেষ্টা মণ্ডলীতে যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় আছি। ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
আসিফ