
সন্তানকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান? তাহলে শুধু ভালো স্কুল, কোচিং বা পড়ালেখা নয় — তাদের হাতে ধরিয়ে দিন একটি বাদ্যযন্ত্র!
বিশ্বখ্যাত ওয়ার্কপ্লেস সাইকোলজিস্ট ও লিডারশিপ কনসালট্যান্ট, যিনি ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় বিভিন্ন পেশার সেরা পারফর্মারদের সঙ্গে কাজ করেছেন, বলছেন একটি জিনিসই বারবার প্রমাণিত হয়েছে: সঙ্গীত শেখা মানেই মস্তিষ্কের জাদুকরী বিকাশ।
স্টিভ জবস-ও বলেছিলেন, “ম্যাকিন্টশ সফল হয়েছিল কারণ একদল মিউজিশিয়ান, কবি, ইতিহাসবিদ এবং বিজ্ঞানী একসঙ্গে কাজ করেছিলেন যারা সৃজনশীলতা আর প্রযুক্তিকে একসূত্রে গাঁথতে পেরেছিলেন।”
কেন বাদ্যযন্ত্র শেখা এত গুরুত্বপূর্ণ?
গবেষণা বলছে, একটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় সব অংশ একসঙ্গে অ্যাকটিভ করে যেমন মোটর কন্ট্রোল, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, প্যাটার্ন রিকগনিশন, স্ট্যামিনা ও সৃজনশীলতা। আর ছোটবেলা থেকে শেখালে মস্তিষ্ক তৈরি হয় আজীবনের সাফল্যের জন্য।
বাদ্যযন্ত্র শেখার ৮টি অসাধারণ উপকারিতা:
-
সফলতা কল্পনায় নয়, বাস্তবে গড়তে শেখে।
-
সময় ব্যবস্থাপনার গভীর উপলব্ধি তৈরি হয়।
-
অসুবিধা থেকে পালানো নয়, সেটাকে জয় করা শেখায়।
-
নিজের আবেগ নিজেই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়।
-
বোরিং জিনিসও কীভাবে লক্ষ্য ঠিক করে উপভোগ্য করা যায়, তা শেখায়।
-
‘আমি পারছি না’ মানেই ‘আমি নতুন কিছু বানাবো’ উদ্ভাবনের শিক্ষা মেলে।
-
মাঝারি মানে সন্তুষ্ট না হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব খোঁজার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
-
নিজের কাজকে অন্যদের জন্য অর্থবহ করে তোলার অনুপ্রেরণা জাগে।
কীভাবে শুরু করবেন?
-
আপনার সন্তানের ভালো লাগার বাদ্যযন্ত্র বেছে দিন। এটা হতে পারে পিয়ানো, গিটার, তবলা বা বাঁশি — যা তাকে আবেগতাড়িত করে।
-
প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট প্র্যাকটিস করুন। ছোট ছোট অগ্রগতি মস্তিষ্কে বড় পরিবর্তন আনে।
-
পারফেকশন নয়, উন্নতি উদযাপন করুন। আজ যা পারছে না, কাল সেটা পারলেই সেটাই সাফল্য।
আপনার সন্তান যদি আজ থেকে বাদ্যযন্ত্র শেখা শুরু করে, তার মানসিক দৃঢ়তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সৃজনশীলতা ও ফোকাস এমনভাবে তৈরি হবে, যা তাকে জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে ১০০ জনের মধ্যে সেরা ১০ জনের কাতারে নিয়ে আসবে।
মিমিয়া