ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সফলভাবে সম্পন্ন সাইবার ড্রিল ২০২৫-এর ফাইনাল রাউন্ড

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:৫৭, ১ জুলাই ২০২৫

সফলভাবে সম্পন্ন সাইবার ড্রিল ২০২৫-এর ফাইনাল রাউন্ড

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির উদ্যোগে এবং বিজিডি ই-গভ সার্টের সহায়তায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (CII) এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ‘সাইবার ইনসিডেন্ট হ্যান্ডলিং’ এ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবছর অনুষ্ঠিত হলো সাইবার ড্রিল ২০২৫-এর ফাইনাল রাউন্ড।

এর আগে, প্রথম ধাপে ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে অনলাইনে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে নিবন্ধিত ৫৮টি দল অংশগ্রহণ করে। সেখান থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শীর্ষ ৩০টি দল চূড়ান্ত রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয় এবং তারা ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

দল: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ৩,২০০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্রথম স্থান দখল করেছে। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দেবাশীষ পাল, যাঁর নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম, মুনতাসিন হক নাভিদ, পঙ্কজ কুমার মণ্ডল ও ওয়াহিদুর রহমান সিকদার মিলে একটি সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত দল গড়ে তোলে।

ডাচ‑বাংলা ব্যাংক পিএলসি

একই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় অবস্থান অধিকার করে ডাচবাংলা ব্যাংক পিএলসি (ডাচবাংলা হান্ট ৩আরএস), যারা ২,৮০০ পয়েন্ট অর্জন করে। এই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন এ কে এম রেজাউল করিম; তাঁর নেতৃত্বে আবু বকর সিদ্দিক, মাসাব হাসনাইন, মোঃ মাহমুদুজ্জামান কমল ও মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ মিলে আত্মবিশ্বাস ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করেন।

 

দল: মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি

তৃতীয় স্থান দখল করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, যাদের দল ‘সাইবার স্যাভি’ ২৬০০ পয়েন্ট অর্জন করে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মোঃ আশিকুর রহমান, যাঁর সাথে মোঃ মুশফিক উল আনাম, মোঃ নাহিদ ইসলাম চৌধুরী, মোঃ শাহীন কাদির ও স্বরূপ সাহা মিলে কার্যকরভাবে অংশ নেন এবং তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেন।

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব দল বাংলাদেশ ব্যাংক সাইবার ড্রিল ২২০০ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।

সাইবার ড্রিলের গুরুত্ব বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তথ্য ও লেনদেন সাইবার হামলার ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সাইবার নিরাপত্তার দুর্বলতা মানেই গ্রাহকের তথ্য হারানো, আর্থিক ক্ষতি এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া। এ প্রেক্ষাপটে, এ ধরনের ড্রিল সাইবার নিরাপত্তা দক্ষতা বৃদ্ধি ও ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা বিভিন্ন সাইবার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, যা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা যাচাইয়ে সহায়ক হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

প্রতিবছর এই ধরনের সাইবার ড্রিল আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব, যা দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাকিব

×