
মিসাইল প্রযুক্তির সূচনা প্রাচীন অস্ত্রের মাধ্যমে হলেও, আধুনিক যুগে এটি পরিণত হয়েছে জটিল পদার্থবিদ্যা ও গণিতের সমন্বয়ে গঠিত একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে। ১৯৪৪ সালে জার্মানির ভি-১ ফ্লাইং বোম্ব ছিল প্রথম গাইডেড মিসাইল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল।
বলিস্টিক মিসাইল ও নিউটনের সূত্র:
বলিস্টিক মিসাইলগুলি নিউটনের গতিসূত্র অনুসরণ করে। এগুলি উৎক্ষেপণের পর একটি নির্দিষ্ট প্যারাবোলিক পথে চলাচল করে, যা পূর্বনির্ধারিত এবং পূর্বাভাসযোগ্য। তবে এই পূর্বাভাসযোগ্যতা একদিকে সুবিধা, অন্যদিকে দুর্বলতা, কারণ এটি প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধের সুযোগ দেয়।
গাইডেড মিসাইল ও সঠিকতা অর্জনের চ্যালেঞ্জ:
গাইডেড মিসাইলগুলি চলার পথে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এগুলিতে রাডার, ইনফ্রারেড বা জিপিএস সেন্সর এবং জাইরোস্কোপ, ফিন বা থ্রাস্টার থাকে, যা মিসাইলকে চলার পথে নির্দেশনা দেয়। চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে হলে, এই প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিউরাল নেটওয়ার্ক ও অ্যালগরিদমের ব্যবহার:
আধুনিক মিসাইল প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশেষ করে নিউরাল নেটওয়ার্ক ও অ্যালগরিদম, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এগুলি মিসাইলকে চলার পথে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, যেমন: লক্ষ্যবস্তুর গতি ও দিক নির্ধারণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এড়ানো ইত্যাদি।
হাইপারসনিক মিসাইল ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তি:
বর্তমানে হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তি বিকাশে রয়েছে, যা শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম। এই মিসাইলগুলি প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে চলতে পারে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মিসাইল প্রযুক্তির উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা প্রাচীন অস্ত্র থেকে শুরু করে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পদার্থবিদ্যার সমন্বয়ে গঠিত। নিউটনের সূত্র, নিউরাল নেটওয়ার্ক ও অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/5xv9w8r3
আফরোজা