
প্রতীকী ছবি
ইসলাম ধর্মে প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের একটি হচ্ছে রোজা। মক্কা ও মদিনায় ইসলাম ধর্মের প্রচারের আগে থেকেই এই রোজা পালনের রীতি ছিল। মহানবী (সা.) মাঝে মাঝে রোজা রাখলেও শুরুর দিকে তাঁর উম্মতদের জন্য ৩০টি রোজা রাখা বাধ্যতামূলক ছিল না। ফরজ হিসাবে রোজা বাধ্যতামূলক করা হয় হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে। এরপর থেকেই সারা পৃথিবীতে রোজা পালন করা হচ্ছে।
যে বছর (৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) রোজা ফরজ করা হয়েছিল, তার দুই বছর আগে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে সাহাবীদের নিয়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন নবীজি। হিজরতের তারিখ থেকে মুসলিমদের হিজরি সাল গণনা শুরু করা হয়।
হিজরি দ্বিতীয় বছরে (মহানবী (স.) এর নবুয়তের ১৫তম বছর) রমজান মাসে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক বা ফরজ ঘোষণা করে আয়াত নাজিল হয় বলে ইসলাম বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
পবিত্র কুরআনের যে আয়াত দিয়ে রোজা ফরজ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ওপরেও রোজা ফরজ ছিলো। অর্থাৎ, আগে থেকেই বিভিন্ন জাতির মধ্যে রোজা রাখার প্রচলন ছিলো, তবে সেটার ধরন হয়তো আলাদা ছিলো।
মক্কা বা মদিনার মানুষ নির্দিষ্ট কয়েকটি তারিখে রোজা রাখতেন। কেউ আশুরার দিনে রোজা রাখতেন, কেউ কেউ চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন।
রোজা ৩০টি কেন?
ইসলাম ধর্মের বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামের প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) জান্নাতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর তা ৩০ দিন তার পেটে ছিলো। যখন তিনি তওবা করলেন, তখন আল্লাহ তাঁকে ৩০ দিন রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহর হুকুম অমান্য থেকে মুক্তি লাভ এবং দেহ থেকে নিষিদ্ধ ফলের উপকরণ দূর করতেই ৩০ দিন রোজা ফরজ করা হয়েছিল, যা পরবর্তী সময়ে কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে নির্দেশিত হয়।
পবিত্র কুরআনের যে আয়াতের মাধ্যমে রোজা পালনকে ফরজ করা হয়েছে, সেই আয়াতটির বাংলা অর্থ নিম্নরূপ-
"হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারো।" (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৩)
রাকিব