
চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দলের মনোনয়ন কিনতে চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আসলাম মিয়া। তিনি দাবি করেছেন, দলের একজন নেতা ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে সেই অর্থ দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং এমনকি দলের বিরুদ্ধে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে স্বপ্তবর্ণা সুপার মার্কেটের সামনে জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আসলাম মিয়া বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, তা অনেকে জানেন না। কিন্তু এখন দলের ভেতর থেকেই কেউ অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনা জুডিশিয়াল ও মেডিকেল কিলিংয়ের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। দেশবাসী এখন তার নেতৃত্বে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় আশাবাদী।”
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও ধান্দাবাজি থেকে দূরে থাকুন। দলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আমাকে সহযোগিতা করুন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সহসভাপতি মো. আব্দুল জলিল শেখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি গোলাম কাশেম, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান মজি, যুবদলের সদস্য সচিব সানোয়ার আহমেদ সানু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ মণ্ডল এবং শ্রমিক নেতা মো. মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
নুসরাত