
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাষা, চাকলা ও বোদা উপজেলার বড়শশী সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় গ্রামগুলোতে কারফিউ জারি করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত ৮ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই কারফিউ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে বলে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
কারফিউ চলাকালীন সময় ভারতীয় সীমান্তে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের রাতের বেলা বাড়ির বাইরে না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত্রীকালীন এই কারফিউ প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সীমান্তবাসী সূত্র জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমান্ত জেলা জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি ও আশপাশের এলাকাকে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ "নিরাপত্তা সংবেদনশীল" ঘোষণা করে কারফিউ জারির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিএসএফের জারি করা কারফিউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কার্ফু চলাকালীন নিচের কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে—পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, কোনো ধরনের অস্ত্র বা লাঠিসোঁটা বহন, গবাদিপশু ও পণ্য পরিবহন (বিশেষ করে চা পাতা), সীমান্ত পারাপার বা অবৈধ অনুপ্রবেশ।
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের সজাগ ও সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএসএফের ৯৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট মনোজ কুমার এই নির্দেশ দেন মর্মে সূত্রটি জানায়।
এদিকে বাংলাদেশ, চীন, নেপাল, ভুটান ঘেরা পশ্চিমবঙ্গের চিকেন নেককে সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ২২ কিমি দীর্ঘ শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরে বসানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল লঞ্চার বা স্যাম বসানো হয়েছে মর্মে সীমান্তবাসী সূত্রে জানা গেছে।
আফরোজা