ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরের পর কোনঠাসা হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেদিন দুপুরেই রাজধানীর বনানীর ১৯ নম্বর রোড়ে অবস্থিত আইনমন্ত্রীর পৈত্রিক নিবাসে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকে এটি এভাবেই রয়েছে।
একসময় এখানে পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকলেও এখন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এলিট ফোর্স। ভেতরে ঢুকতে চাইলে নিতে হয় অনুমতি।
বাড়িতে প্রবেশ করলে দেখা যায়, অবস্থা খুবই ভয়াবহ। পুরো বাড়িজুড়েই রয়েছে মানুষের ক্ষোভ ও আক্রোশের চিহ্ন। প্রতাপশালী মন্ত্রী হয়েও নিজের বাড়ির রক্ষা করতে পারেননি তিনি। আনিসুল হকের শখের লাইব্রেরীতে তাক থাকলেও নেই বই। বাথরুমের অবস্থাও খুবই নাজুক। সবকিছু ভেঙে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। দামি দামি আসবাবপত্র দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রীর বাসা ভরা থাকলেও এখন অবশিষ্ট কিছুই নেই, শুধু কাগজপত্র পড়ে আছে। এছাড়া, খুলে নিয়ে গেছে দেওয়ালের কাঠ। জানালা এবং রেলিংয়ের কাঠের কিছু অংশ। ভেঙেছে সরকারি গাড়ি। হয়তো আনিসুল হক ভাবতেও পারেননি পাঁচ আগস্ট হবে অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের দিন। যেতে হবে আত্মগোপনে।
শুধু ঢাকার বাসা নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। হামলা ও ভাঙচুরের পর টিনশেড দালান ঘরের চাল খুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এমএম