ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এ প্রেক্ষাপটে সরকারকে বাধ্য হয়েই মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।’
রবিবার (৭ আগস্ট) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যার ফলে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে। এতে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণেই শেখ হাসিনা সরকার নিরুপায় হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেলে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করবে। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের দাম কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে ‘
জ্বালানি তেলের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে ডিজেলের লিটার ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা, ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা, আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকংয়ে ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা।’
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত দাবি করবে না। কোন পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা এবং জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপিই মূর্তিমান দানবে রূপ নিয়েছে। যারা হত্যার রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে রাজনীতি শুরু করে তারাই দানব, তারা দানবের চেয়েও ভয়ংকর।
এমএইচ
