ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

সবার আগে প্রয়োজন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা

জুবায়ের হাসান

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২২ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫৭, ২২ জুন ২০২৫

সবার আগে প্রয়োজন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা

আমাদের দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরুরি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক সীমানা সুরক্ষিত করা। এই কাজের জন্য বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রয়োজন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আছেও। আমরা যদি মনে করতাম সব সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাধান করা যায়, তাহলে নিশ্চয় অর্থ ব্যয় করে সেনাবাহিনী রাখার প্রয়োজন হতো না। আমরা যদি প্রতিরক্ষার প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করি, তবে সেটা হবে মারাত্মক ভুল। আজ মিয়ানমারের মতো রাষ্ট্র আমাদের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। শুধু কামনা করছি আন্তর্জাতিক সহায়তা। এদিকে ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর ভারত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে তথ্য আগ্রাসন। ক্ষেত্র বিশেষে আরোপ করেছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। প্রতিনিয়ত দিয়ে চলেছে নানা ধরনের হুমকি। সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে এদেশে ঠেলে দেওয়া (পুশ ইন) হচ্ছে। কয়েক বছর আগে আসাম থেকে তের-চৌদ্দ লাখ বাংলাভাষী মুসলমানকে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ঠেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ভারত। এ রকম কিছু ঘটলে সৃষ্টি হবে একটি বিরাট মানবিক বিপর্যয়। অতএব আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং ক্ষমতাসীন শাসকবর্গকে দেশের এই ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে হবে। এই বিপদকে এড়িয়ে গিয়ে কেবলই ভোটের রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করলে তাতে ঘটতে পারে মহাবিপর্যয়। মুক্ত ভোটের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই স্বীকার্য। কিন্তু জাতির জীবনে সেইটাই একমাত্র সমস্যা নয়। আমাদের রাষ্ট্রিক অস্তিত্ব রক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে সমস্যা আগেও ছিল এবং এখনো তা-ই হয়ে আছে। বর্তমান বাংলাদেশ একটা সুপ্রাচীন আর সুপ্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র নয়। মাত্র ৫৪ বছর আগে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমাদের সামান্য ভুলেই এ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হতে পারে বিপন্ন। 
শক্তিশালী সেনাবাহিনী না থাকলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা কীভাবে বিপন্ন হতে পারে, এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ কাছের দেশ শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কায় আগে থেকেই যদি শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকতো তাহলে সেখানে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্ভব হতো না। সেখানকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারতো অনেক আগেই। একটি দেশের সেনাবাহিনী ও এর সামরিক সক্ষমতা কীভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে এর টাটকা উদাহরণ গত ৭ মে থেকে ১০ মে (২০২৫) পর্যন্ত সংঘটিত চার দিনের পাক-ভারত যুদ্ধ। পাকিস্তান যদি সমর শক্তিতে যথেষ্ট শক্তিশালী না হতো তাহলে এ যুদ্ধে দেশটিকে হারাতে হতো তার সার্বভৌমত্ব এবং শেষ পর্যন্ত তাকে এক দাসত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হতো।  
এবারের পাক-ভারত যুদ্ধে এটা স্পষ্ট যে, চীনের সামরিক সহায়তায় পাকিস্তান নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। এখন কথা হলো, বাংলাদেশ যদি কখনো পাকিস্তানের মতোই ভারতের দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে কোন দেশ এগিয়ে আসবে তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট ভাবা প্রয়োজন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে কোনো এক সময় এ উপমহাদেশে একটা বড় রকমের যুদ্ধ হতে পারে। তাই যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পাকিস্তানের তুলনায় যথেষ্ট শক্তিশালী। এমতাবস্থায় পাকিস্তান যদি চীনা সহায়তায় সামরিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তাহলে আমরা কেন প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে চীন এবং অন্যান্য দেশের সহায়তায় সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারব না? 
আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তার ওপর। সেনাবাহিনী হলো একটি জাতির শক্তির বিশেষ উৎস। এ কারণে সব দেশকেই মনোযোগী হতে হচ্ছে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার। বাংলাদেশ এ বিষয়ে উদাসীন থাকতে পারে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে যথেষ্ট শক্তিশালী করে। সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার যে কোনো উদ্যোগ ও প্রস্তাবগুলোকে গ্রহণ করতে হবে খুবই বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। 
বাংলাদেশ ভূরাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে না, বরং এ দেশেরই ভূরাজনীতির শিকারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বর্তমান যুগে বিশ্বের কোনো দেশেরই ভবিষ্যৎ কেবল আর তার নিজের দেশের ঘটনাবলির প্রবাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। বিদেশের ঘটনাবলির প্রভাব এসে পড়ে তার ওপর। যুদ্ধের ফল ভয়াবহ। কিন্তু তারপরও এখনো পৃথিবীর নানা দেশের নানা অঞ্চলে হচ্ছে যুদ্ধ। এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অগ্রাহ্য করেই আক্রমণ করছে দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে। কখনো আবার ভূরাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে বিশ্বের নানা অঞ্চলে পরিচালিত হচ্ছে প্রক্সি যুদ্ধ। সব মিলিয়ে বিশ্বপরিস্থিতি হচ্ছে জটিল থেকে জটিলতর। বস্তুত আমরা একটা নিরাপদ বিশ্বে বাস করছি না। তাই ধনী-দরিদ্র সব দেশই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে। পৃথিবীর এই সংঘাতময় অবস্থা এবং ভূরাজনৈতিক জটিলতায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেবল তার ঘরোয়া রাজনীতি দ্বারা নিরুপিত হবে না। নিরুপিত হবে বিশ্বপরিস্থিতির ওপরও। তাই বিশ্ব পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে আমাদের গ্রহণ করতে হবে যথাযথ সমরনীতি। বিশ্ব পরিস্থিতি বিশ্লেষণে আমাদের চিন্তায় যদি যথেষ্ট ঘাটতি থাকে, আমরা যদি বিশ্ব পরিস্থিতির জটিল দিকগুলোকে বিবেচনায় না নিয়ে এটাকে খুব সরল করে দেখি এবং যথাযথ সমরনীতি গ্রহণ না করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়বে ভীষণ বিপজ্জনক ও অনিরাপদ। 
গত ১২ জুন মধ্যরাত থেকে ইরানের ওপর ইসরাইল বিনা উস্কানিতে হামলা শুরু করেছে। ইসরাইলের লক্ষ্য ইরানকে সামরিকভাবে শক্তিহীন করা এবং সেখানে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করা। ইরানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী এক নতুন সংঘাত ও উত্তেজনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। বিশ্ব রাজনীতি হয়ে পড়ছে ভীষণ উত্তাল। আর এর প্রভাব বাংলাদেশে না এসে পারেই না। সংবাদপত্রের পাতায় দেখলাম, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া তুরস্ক থেকে পঞ্চম প্রজন্মের ৪৮টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি সই করেছে। যার মোট মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কয়েকটি মুসলিম দেশ যেমন কাতার, আজারবাইজান, সৌদি আরব এরাও তুরস্ক থেকে একই ধরনের যুদ্ধবিমান ক্রয়ের কথা ভাবছে, (মিডিল ইস্ট আই,১১ জুন ২০২৫)। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। ভারত প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি রুপির অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির কাজে লাগে এ ধরনের উপকরণ বিশ্বের বাজার থেকে ক্রয় করে থাকে। প্রশ্ন হলো, ভারতকে কে আক্রমণ করতে যাচ্ছে? কেন তার এই বিরাট সমর আয়োজন? বস্তুত সারা বিশ্ব হয়ে আছে যথেষ্ট যুদ্ধ মনোভাবাপন্ন। এ কারণে প্রত্যেক দেশই নিজের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে নজর দিচ্ছে সামরিক শক্তি গড়ে তোলার দিকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে যদি তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে হয়, তবে তাকেও ভাবতে হবে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ার কথা। 
কোনো জাতির জীবনে একটি যুদ্ধই শেষ যুদ্ধ হয় না। অনেক যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয় একটা জাতিকে। আমাদের জাতীয় জীবনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এক মহান যুদ্ধ, যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছিলাম। কিন্তু একাত্তরের যুদ্ধকে শেষ যুদ্ধ ভাবার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়তে হতে পারে আরও একাধিক যুদ্ধ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ধরনের জাতীয়তাবাদ চর্চা করা হয় তাকে আত্মরক্ষামূলক বলা চলে। স্বদেশ ভাবনার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সম্প্রসারণবাদী নয় এবং তা অপর কোনো রাষ্ট্রের জন্য হুমকিও নয়। পক্ষান্তরে ভারতীয় রাজনীতির উগ্র হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ছোট রাষ্ট্রের জনগণ ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যবাদ সম্প্রসারিত হওয়ার ভয়ে ভীত। বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলাভাষী মুসলমানদের মনে বাসা বেঁধেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের ভীতি। এই ভীতি তাদের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় আধিপত্যবাদের ভীতির কারণেই গড়ে তুলতে চাইছে অপরাপর দেশের সঙ্গে সখ্য। বাংলাদেশের মানুষের এই আকাক্সক্ষাকে কোনোভাবেই ভারত বিরোধিতা বলা চলে না। বাংলাদেশে ভারতবিমুখী প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতির কারণে নয়। বরং বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আগ্রাসী আচরণই এ দেশের মানুষের মনোভাবকে করে তুলছে ভারতবিমুখী। ভারত আছে আমাদের তিন দিক ঘিরে। ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক কারণে এ দেশের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন ও সন্দিহান হয়ে উঠেছে। মানুষ চাচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে, দেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে নয়। চীন এক সময় চেয়েছিল নেপাল, সিকিম ও ভুটানকে একত্রিত করে একটি হিমালয়ান ফেডারেশন গড়তে। চীন যাতে এটা করতে না পারে সে জন্য ভারত ১৯৭৫ সালে সিকিম দখল করে। বাংলাদেশে বাড়ছে চীনের প্রভাব। বাংলাদেশ-চীন সখ্য ভারতের চীনাভীতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটা ভারতকে বাংলাদেশ দখলে উদ্বুদ্ধ করতেও পারে। তবে বাংলাদেশের মুসলমানরা কোনোভাবেই চাইবে না সিকিমের ভাগ্য বরণ করতে। বাংলাদেশ ৫৪ বছর হলো একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে আছে। আর সে চাইবে স্বাধীনভাবেই টিকে থাকতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করেছে স্বাধীন হওয়ার জন্য। আর এখন সে প্রস্তুত থাকতে চাচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের এই পরম বাস্তবতাকেই আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। 
২০১৬-১৭ সালে মিয়ানমারের আরাকান থেকে দশ লাখের বেশি নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে। এ সমস্যার সমাধান দীর্ঘ ৮ বছরেও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমরা যদি সে সময় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পারতাম তাহলে এ সমস্যার উদ্ভব হতো না। ২০১২ ও ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে জানা গেল মিয়ানমার ওই সমুদ্রসীমা আর মানতে চাচ্ছে না। তাই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে জটিল। রোহিঙ্গা সংকট এবং সমুদ্রসীমা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের যুদ্ধ বেধে যাওয়া বিচিত্র নয়। এত দিন আমরা ভেবেছি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে কেবল ভারতের দ্বারাই। কিন্তু এখন মিয়ানমার দ্বারাও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। বস্তুত শান্তি চাইলেই যে অন্যরা শান্তি চাইবে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা খুব বেশি শান্তিবাদী হয়ে উঠলে তা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য থাকতে হবে রণপ্রস্তুতি। আমরা এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে না রাখাটা হবে আত্মঘাতী। আমাদের অবশ্যই সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। 
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক

প্যানেল

×