
বন্ধ হোক রাজনীতির অপসংস্কৃতি
সাড়ে পনেরো বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। শুরু হয় বাকশালী চরিত্রে ফ্যাসিবাদের নতুন নতুন সংস্করণ। কখনো নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের মোড়কে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আবার কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিচারিক হত্যাকা-ের মাধ্যমে নিঃশেষ করার কোশেশ। শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম-খুন ও ধর্ষণ পানিপান্তার মতো বিষয় ছিল!
দেশের শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুটপাট, সিনেমার কল্পকাহিনীকেও হার মানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মাফিয়া দল আওয়ামী লীগের অপকর্মের ফিরিস্তি লিখিত বয়ানে শেষ হওয়ার নয়। দিনে-দুপুরে খুনোখুনি, বাবা কিংবা ভাই এর কাছ থেকে যুবতি মেয়ে অথবা বোনকে ছিনিয়ে নেওয়া, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ। দেশের ক্যাম্পাসগুলো ছিল মানুষ হত্যার অভয়াশ্রম। এমন এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শাসনভার গ্রহণ করে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। পুলিশ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ওই সব মামলায় আসামি হলেই গ্রেপ্তার কিংবা বাসায় বাসায় গিয়ে হয়রানি করা যাবে না।
বাংলাদেশের আমজনতা শান্তপ্রকৃতির, তারা একে অপরের বিপদে-আপদে সর্বস্ব নিয়ে এগিয়ে আসে, কিন্তু তারপরও সমাজে কিছু দুষ্ট মানুষ রয়েছ, যারা সবসময়ই নিজের স্বার্থে অন্যের ক্ষতি করে থাকে। গত বছর আগস্ট বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি ছিল, যেখান কয়েক সপ্তাহ পুলিশ ভয়ে জনগণের মুখোমুখি হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে জনহেনস্তার ভয়ে ছিল তারা। পুলিশ সকল ইউনিট প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল। এমন বাস্তবতায়, মামলা-বাণিজ্য হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক ছিল না। এ সকল মামলা বাণিজ্যে পুলিশের এক শ্রেণির অসাধু সদস্য ও গ্রাম, পাড়া-মহল্লার চিটার-বাটপার শ্রেণির রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা জড়িত।
দেশে বিপ্লবোত্তর হয়রানিমূলক মামলায় আসামি করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ জায়গায় ভূমিকা রেখেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা। অসাধু আইনজীবী, পুলিশ ও দালাল চক্র। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে, কোথাও চাঁদাবাজির জন্য, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
এমনকি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছিলেন, এমন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে মামলাজীবী সম্প্রদায়।
মামলা হওয়ার আগে-পরে কোনো কোনো আসামির কাছ থেকে অর্থ দাবি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, পেশাগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে অনেককে আসামি করা হয়েছে। মামলাবাজরা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সক্রিয় থাকে, অন্যদিকে ‘বাণিজ্যের’ উদ্দেশ্যে করা আসামিদের ধরতে কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের অতিউৎসাহও দেখা যায়। আবার আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ বা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর হুমকি দিয়েও অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
এলাকার প্রভাবশালীদের সঙ্গে থানা-পুলিশের এক ধরনের দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকে। মামলার তদন্তে তাঁরা নানাভাবে প্রভাব বিস্তারও করেন। এই অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। অপরাধী ধরতে, দেশের প্রতিটি থানারই নিজস্ব কিছু ইনফর্মার থাকে, যারা অপরাধীর তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে থাকে। মামলা বাণিজ্যের টেকসই রূপ দিতে এসব ইনফর্মার অপরাধী ও পুলিশের মাঝে দূতিয়ালির ভূমিকা রাখে। এর সঙ্গে জড়িত কোনো কোনো থানার কনস্টেবল থেকে ওসি পর্যন্ত। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলো যথেষ্ট জনবান্ধব বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু মাঠ পর্যায়ের কতিপয় কর্মকর্তাদের আচরণে মনে হচ্ছে ফ্যাসিবাদী আমলের চরিত্র থেকে পুলিশ এখনো বের হতে পারেনি।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যাকা-ের ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা মামলা করেছেন। এ বক্তব্য কিছুটা সত্য হলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। একই হত্যাকা-ে একাধিক মামলার প্রমাণও পাওয়া গেছে, যা আইনবিরোধী। অনেক বাদী মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। স্বার্থান্বেষী মহল, একই দলের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বাদীকে থানায় নিয়ে মামলার কাগজপত্রে সই করিয়ে ইচ্ছামতো আসামিদের নাম বসিয়েছে। শহীদদের স্বজনেরা প্রিয়জন হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন বারবার। আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি যাঁরা গুলি করেছেন, হামলা করেছেন, তাঁদের বড় অংশ এখনো ধরা পড়েনি। পুলিশের তদন্ত কর্তারা বলছেন, প্রায় প্রতিটি মামলায় এত বেশিসংখ্যক আসামি করা হয়েছে, তদন্ত শেষ করতেই পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে থানা-পুলিশের প্রতি নির্দেশনা ছিল যেন, অরাজনৈতিক অপরাধের বিষয়ে কোন মামলা না নেওয়া হয়। এ কারণে ভুক্তভোগীরা একান্ত বাধ্য না হলে মামলা করতে থানায় যেতেন না। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে পুলিশ সাধারণত মামলা নেয় না। থানা-পুলিশের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালীদের একধরনের আঁতাত থাকে এবং তাঁরা নানাভাবে মামলার তদন্ত প্রভাবিত করেন। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বিভিন্ন মামলার খোঁজখবর নিয়ে দেখা যাচ্ছে, মামলাবাজরা মামলা করেছে সংঘবদ্ধচক্র হয়ে। অধিকাংশ মামলাই ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে দেড় হাজার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৫৯৯টি। অন্যান্য ৯০০টি। এসব মামলায় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলার মধ্যে অনেকগুলোর তদন্তে অগ্রগতি আছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
কোনো মামলায় আসামি ১০০ জনের কম নয়।পুলিশ বলছে, সারা দেশে ১০টি মেন্টরিং অ্যান্ড মনিটরিং দলের মাধ্যমে মামলাগুলো তদারক করা হচ্ছে। এর মধ্যে আট বিভাগে ৮টি, রাজধানীতে ১টি ও গাজীপুরের জন্য ১টি দল করা হয়েছে। প্রতিটি দলের কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানি শিকার না হন।
এসব মামলায় প্রকৃত আসামি, সন্দেহজনক ব্যক্তির পাশাপাশি হয়রানি করার জন্যও অনেককে আসামি করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, অরাজনৈতিক ব্যক্তি। এমন কী ঘটনাস্থলে ছিলেন না অন্যত্র থাকা মানুষদের নামেও মামলা হয়েছে। পুলিশ ও অপরাধ বিশ্লেষকগণ বলছেন, ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে পুলিশ সদস্যদের মনোবল দুর্বল ছিল। তখন যাচাই-বাছাই করে মামলা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি ও সক্ষমতা কোনটিই থানাগুলোর ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশেও মামলা হয়েছে।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, এসব মামলার আসামি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। মামলা করার আগে ও পরে এসব ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির অভিয়োগ রয়েছে। কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন, এমনটিও শোনা যায়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দুষ্টচক্রের লোকেরা ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নিজেদের মামলা ব্যবসায়ী হিসেবে তুলে ধরছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মামলাবাজ এক শ্রেণির ফাঁড়িয়া টোকাই রাজনীতিবিদ।
যাদেরই টার্গেট করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সক্ষম। এসব মামলায় আসামি করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট টার্গেট করে। এমন সব ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে, যাঁদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। দেশের শহর-বন্দর কিংবা গ্রাম, মামলা-বাণিজ্য চলছে হরদম।
মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস, ভুলবশত আসামি করা হয়েছে মর্মে হলফনামা দেওয়া এবং পুলিশ প্রতিবেদনে নির্দোষ দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি অসাধু চক্র মামলা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। অভিযোগ আছে, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েও মামলায় ফাঁসিয়েছে কাউকে কাউকে।
আদতে ঢালাও মামলা ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক, এ সব মামলা উচ্চ আদালতে টিকবে না। যদি ঢালাও মামলা হয় তবে, নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হবেন, যা জুলাই-আগস্টের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ন্যায় বিচারের পথও রুদ্ধ হয়ে যাবে, কোনো অবস্থাতেই তা কাম্য হতে পারে না। পুরো দেশেকে একটি অস্থিতিশীল অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে কিছু মতলববাজ রাজনীতিবিদ, যারা মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যত্রতত্র মামলার আসামি করার কারণে ব্যবসায়ীরা নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে পারছেন না, বিধায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে প্রায়ই ছিনতাই ও ডাকাতির খবর শোনা যাচ্ছে। এমনকি গ্রাম-মফস্বলেও ঘটে থাকে। বাসটার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চটার্মিনাল, ফুটপাতে কোথাও সরবে কিংবা নিরবে চলছে চাঁদাবাজি। একদিকে দেশজুড়ে নীরব চাঁদাবাজির উৎসব, অন্যদিকে যত্রতত্র মব জাস্টিস। ফ্যাসিবাদী শাসন কাঠামোর নেতিবাচক প্রভাব।
যা দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কায়েম না থাকার ফসল। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের পেশাদার চাঁদাবাজরা একাট্টা হয়েছে দেশের বড় একটি রাজনৈতিক শক্তির আড়ালে। চাঁদাবাজরা গণচাঁদাবাজি করছে, আর বদনামের ঘানি টানছে দলটির পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্ব।
পুলিশ বলছে তারা জনগণের পাশে থাকবে। দেশের জনগণকে চাঁদা দিতে বারণ করছে বারবার। কথা হলো, মানুষ তো শখ করে কাউকে চাঁদা দেয় না। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলা হয়। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সোচ্চার হতে হবে, সজাগ থাকতে হবে দেশের প্রতিটি নাগরিককে।
ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় গিয়ে নির্ভয়ে মামলা করতে পারবেন, কোন ধরনের হয়রানির ছাড়া, দেশের নাগরিকদের এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। ক্ষমতার পালাবদলের পর মামলা বাণিজ্যের মতো অপসংস্কৃতির অবসান, খুব একটা হয়েছে বলে মনে হয় না। উদ্দেশ্যমূলক মামলা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের মামলা করার মাধ্যমে যাঁরা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের অন্যতম গুরু দায়িত্ব।
এ ছাড়া হয়রানিমূলকভাবে যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও সরকারের উচ্চপর্যায় ও পুলিশের তরফে বারবার বলা হয়েছে। ঢালাও মামলা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। জুলাই-আগস্টে আহত ও শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারকে তীক্ষè নজর রাখতে হবে, কোনো কুচক্রী মহলের কারণে যেন জুলাই-আগস্টের অর্জন বিসর্জন না হয়।
আমাদের সৎ রাজনীতিবিদদের যে কোনো মূল্যে, মামলা বাণিজ্যের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি মোকাবিলায় দেশের বড়-ছোট সব রাজনৈতিক দলকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে, তবেই সুখময় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যাবে।
লেখক : সাংবাদিক