
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, জাতির কাছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের অপরাধ অমার্জনীয়। এ বি এম খায়রুল হককে বিচারের আওতায় আনা সময়ের দাবি। তিনটি গুরুতর কারণে তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টায় ড. খন্দকার মারুফ হোসেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন,
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেআইনি রায়ের মাধ্যমে বাতিল হয়। এই সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আজ অবধি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি
জাতির ইতিহাসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলেন এক অবিসংবাদিত স্বাধীনতার ঘোষক। অথচ এ বি এম খায়রুল হক তার রায়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ঐতিহাসিক সত্যকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এটি ইতিহাসকে বিকৃত করার জঘন্য দৃষ্টান্ত।
বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে জোরপূর্বক উৎখাত
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত মইনুল রোডের বাসভবন থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়। এই পদক্ষেপ ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ, যা এ বি এম খায়রুল হকের সহায়তায় ঘটেছে।
ড. মারুফ হোসেন আরও লিখেন, তিনি এই তিনটি অপরাধই দেশের গণতন্ত্র, ইতিহাস ও ন্যায়বিচারকে কলঙ্কিত করেছে। জাতি আজ প্রশ্ন করে—এই বেআইনি রায়গুলোর দায়ভার কে নেবে?
জাতি আজ অপেক্ষা করছে—এ বি এম খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
কারণ, তারই রচিত বেআইনি রায় ও সিদ্ধান্তের কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা গোষ্ঠী বছরের পর বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকেছে, জনগণ হয়েছে অবরুদ্ধ।
লেখক
ড. খন্দকার মারুফ হোসেন
মুমু ২