ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর লোমহর্ষক বর্ণনা

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ২১ জুলাই ২০২৫

বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর লোমহর্ষক বর্ণনা

ছবিঃ সংগৃহীত

ছিল মাত্র একটি প্রশিক্ষণ বিমান, যার ভেতরে সাধারণত এক থেকে দুই জন পাইলট থাকেন। সাধারণত এটি খোলা মাঠে, ক্ষেতে কিংবা জনবিরল এলাকায় বিধ্বস্ত হলে হতাহতের সংখ্যা থাকতো সীমিত—দুই থেকে চার জন। কিন্তু এদিন ঘটেছে এক ভয়াবহ ও লোমহর্ষক দুর্ঘটনা।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টার কিছু সময় পর, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বের হয়ে গিয়েছিল, তবে অনেকে তখনো ক্লাসরুমে অবস্থান করছিলেন কিংবা কোচিং ক্লাসে অংশ নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় এক ভয়ঙ্কর গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়।

মাইলস্টোন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সবুজ মিয়া জানান, “স্কুল ভবনের দোতলার প্রবেশ মুখে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং ঘন কালো ধোঁয়ায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে পড়ে।”

অভিভাবক লাকি আক্তার জানান, তার দুই সন্তান এই স্কুলে পড়ে। বড় সন্তানকে উদ্ধার করতে পারলেও ছোট সন্তানের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। ছোট সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

আরেক অভিভাবক ফেরদৌসি বেগম বলেন, “আমার মেয়ে ভবনের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। আমি তার সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছি না।”

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনের ভেতর থেকে দগ্ধ শিক্ষার্থীরা শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দৌড়ে বেরিয়ে আসছে। সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিমান বাহিনী ও বিজিবি। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। স্কুলের আশপাশে জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্বজন ও সাধারণ জনতা। সবার চোখেমুখে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা আর শোক।

এ ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ইমরান

আরো পড়ুন  

×