
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ দাবি করেছেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতারা যেন ভিন্ন পরিচয়ে বা গোপনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার (৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, “আমরা জানি আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ। সে হিসেবে আমরা চাই তারা যেন ওই নাম লুকিয়ে বা ভিন্ন নামে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে। এ বিষয়ে আমরা সিইসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”
সাক্ষাতে এনডিএম এর পক্ষ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করা, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বিলবোর্ড ও জনসভা আয়োজনের অনুমতি এবং আচরণবিধিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় আঘাত বা ব্যক্তিগত চরিত্র হননের প্রচারণা নিষিদ্ধ করা।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিয়েও ছাড় চেয়েছে দলটি। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তিগত ঋণের জামিনদার থাকেন এবং ঋণগ্রহীতা খেলাপি হন, তবে মনোনয়ন দাখিলের আগে ঋণ পরিশোধের স্লিপ দাখিল করলে সেই প্রার্থীকে নির্বাচনের উপযোগী বিবেচনা করতে হবে।”
ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, “নির্বাচনে পোস্টার বাদ যাচ্ছে, কিন্তু বিলবোর্ডের দায়িত্ব যদি প্রার্থীকে নিতে হয়, তাহলে ৪০ লাখ টাকাও যথেষ্ট হবে না। এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নেওয়া উচিত।”
তিনি অনুরোধ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কমিশনের কোনো আলোচনা হয়ে থাকলে সেটি যেন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।
মিমিয়া