
সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে ঢাকেবির অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কার্যক্রম।এমনই কথা হয়েছে
অধ্যাদেশ জারির কালক্ষেপণ ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন (ইউজিসি) তে সাত কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায়।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত হয়েছিলো ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ এক আন্দোলনের ফসল হিসাবে সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বাতিল হয়েছিলো ২৬ ফেব্রুয়ারী এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজ সংকট মোকাবেলায় গঠিত হয়েছিল অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।এই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের উদ্দেশ্য ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় সাত কলেজ বর্তমান দুই লাখ শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা, ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকেবির রূপরেখা প্রণয়ন ও অধ্যাদেশ জারি করা।
তবে চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও দেখা যায় এখন পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয় নি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মনে তাতে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয় এবং উদ্বেগের দেখা দিলে
মঙ্গলবার (২৪জুন) বিকেল ৩ টায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসেন সাত কলেজ প্রতিনিধি ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সকলে।
এতে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন ছিলো, কতদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি হতে পারে ও ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে।
অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান এ বিষয়ে বলেন,কাজ চলছে আমরা চেষ্টা করছি সেপ্টেম্বর এর মধ্যে সব কাজ শেষ করতে। এর আগে আমরা লোগো সিলেক্ট করব। কয়েকটা ডিজাইন আমাদের কাছে আছে তা থেকে আলোচনার মাধ্যমে বাছাই করব কোনটা ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন,আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে যাচ্ছি যাতে পরবর্তীতে কোনো জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তারা বলেছেন,৩৬ জুলাই (৫ ই আগস্ট) এর দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হোক।
জানা যায় সেখানে আনুষঙ্গিক আরও নানা বিষয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হয়েছে।
তার মধ্যে ছিলো, বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে,নতুন সেশন ভর্তি ও অধ্যাদেশ জারির প্রতিবন্ধকতা বিষয়সমূহ নিয়ে।
এছাড়া কোন রূপরেখায় এটি হবে তা নিয়েও কথা বলছিলেন একপক্ষ।
সবশেষে এ আলোচনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে কালক্ষেপণ নিয়ে যে সন্দেহ ছিলো তা নিয়ে তারা আশা৷ পোষণ করেন এবং তারা বলেছেন , ঢাকেবির কার্যক্রম আরো সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ ।
Jahan