
ছবিঃ সংগৃহীত
বই হাতে নিলেই হাই উঠতে শুরু করে? আর চোখ দুটো যেন আপনাআপনি বন্ধ হয়ে আসে? এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখলে চোখ যেন জেগে থাকে, কিন্তু বই খুললেই মনে হয় ঘুমপরী হাজির! বিষয়টা যতটা মজার শোনায়, ততটাই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিশেষ করে পরীক্ষার আগে।
তবে চিন্তার কিছু নেই। কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর টেকনিক মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. রুটিনে ফিরে যাও
একটা ফিক্সড ডেইলি রুটিন রাখলে মস্তিষ্ক ও শরীর দুই-ই প্রস্তুত থাকে। কখন ঘুমাবে, কখন খাবে, কখন পড়বে—এসব যদি নিয়ম মেনে হয়, তাহলে ঘুম পড়ার সময় ভুল করে বইয়ের পাতা খুলবে না!
২. যত ভালো পরিবেশ, তত প্রোডাকটিভ মন।
চুপচাপ, পরিষ্কার এবং আলো-হাওয়া চলাচলযোগ্য জায়গায় পড়ো। শুধু স্টাডি ল্যাম্প জ্বালিয়ে অন্ধকার ঘরে বসে পড়লে ঘুম আসাটাই স্বাভাবিক। ঝলমলে পরিবেশ মনও ফ্রেশ রাখে।
৩. জোরে পড়ে ঘুমকে তাড়াও
চুপচাপ মগজে গিলতে বসলে ঘুম আসবে—নিশ্চিত! বরং জোরে জোরে পড়ো। শব্দ করার মাধ্যমে তুমি তোমার ব্রেইনকে ব্যস্ত রাখো—এটা ঘুমকে ঠেকাতে সাহায্য করে।
৪. ছোট ছোট সময় ভাগ করে পড়ো, টানা নয়
২৫-৩০ মিনিট মন দিয়ে পড়ো, তারপর ৫-১০ মিনিটের একটা শর্ট ব্রেক নাও। এটা একদিকে ক্লান্তি কাটায়, অন্যদিকে মনোযোগও ধরে রাখে। একে বলে “Pomodoro Technique”—নেক্সট লেভেল হ্যাক!
৫. শরীর ক্লান্ত থাকলে মস্তিষ্কও স্লো মোডে চলে যায়।
পড়ার সময় পানি খাও, হালকা নাস্তা রাখো (ফাস্ট ফুড নয়)। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ফিজিক্যাল একটিভিটি রাখলে শুধু শরীর নয়, মনও এনার্জেটিক থাকে।
৬. হেডফোন নয়, এক্সট্রা অ্যালার্টনেস
গান শুনে অনেকে বলে, “আমার তো গান ছাড়া পড়াই হয় না।” সত্যি কথা, গান ব্রেইনের বড় একটা অংশ ব্যস্ত রাখে, পড়ায় মন বসে না। তাই পড়ার সময় মিউজিক অফ রাখাই বেটার।
৭. বেশি আরাম মানে বেশি ঘুম
বিছানায় আধশোয়া হয়ে পড়া, চাদর মুড়ি দিয়ে কফির মগ হাতে বসা—এসব কম্ফোর্ট জোনই ঘুম ডেকে আনে। স্ট্রেট চেয়ারে বসে পড়লে ঘুম কম আসে, মনোযোগ বেশি থাকে।
৮. একা পড়তে মন বসছে না? গ্রুপ স্টাডি ট্রাই করো
একলা পড়তে গিয়ে যদি মন ছুটে যায় টিকটকে, তাহলে সলিউশন—গ্রুপ স্টাডি। ফ্রেন্ডদের সাথে আলোচনা, প্রশ্ন-উত্তর, গেমিফাইড পড়াশোনা—এসব করলে মজা লাগবে এবং মনে থাকবে।
স্টাডি মানেই স্ট্রাগল নয়, একটু স্মার্ট চেঞ্জেই আসবে রেজাল্ট চেঞ্জ! ঘুম আসা, মনোযোগ হারানো—এসব বন্ধ করতে হলে নিজের অভ্যাসেই বদল আনতে হবে। ঠিকঠাক রুটিন, হেলদি খাবার, মুভমেন্ট, আর সঠিক এনভায়রনমেন্ট এই কয়েকটি জিনিসই তোমার পড়ার অভিজ্ঞতাকে পুরো পাল্টে দিতে পারে। শুরুটা আজ থেকেই করো। কারণ আজকের ফোকাসই আগামীকালের সাকসেস!
নোভা