
ছবিঃ সংগৃহীত
ডায়াবেটিস সাধারণত হঠাৎ করেই ধরা পড়ে না। অনেকের ক্ষেত্রেই এটি ধীরে ধীরে ‘প্রি-ডায়াবেটিস’ পর্যায়ে প্রবেশ করে, যেটা প্রাথমিকভাবে তেমন লক্ষণ না দেখালেও দেহে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধযোগ্য, কারণ এটি একটি জীবনধারণভিত্তিক রোগ।
নতুন দিল্লির এসসিওডি ক্লিনিকের ব্যারিয়াট্রিক ও মেটাবলিক সার্জন ডা. অর্জ সাবরওয়াল বলেন, “টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলো শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে পড়ার ফল। ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সঠিক অভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগকে পুরোপুরি প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করা সম্ভব। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে একে পুরোপুরি বিপরীত দিকেও নেওয়া যায়।”
ডা. সাবরওয়ালের মতে, অতিরিক্ত ওজন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ, অনিয়মিত ও নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
তিনি আরও জানান, “প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়েই যদি সচেতনতা আসে, তবে জীবনধারায় কিছু বুদ্ধিমানের পরিবর্তনের মাধ্যমে একে পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যায়। মূল কথা হলো, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা ও জটিলতা শুরু হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নেওয়া।”
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব:
মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়ায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা অস্থির করে তোলে। তাই গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ডায়েরি লেখা বা হালকা ওজন প্রশিক্ষণের মতো অভ্যাস মানসিক ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র: www.moneycontrol.com
নোভা