
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আকবর তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, “২০-২৫ বছর পৃথিবীর আলো দেখার পর আর দেখবো না”- এটা আপনি আমি কীভাবে মেনে নিতাম? ৪৭ জুলাই আহত চক্ষু রোগীরা (আংশিক অন্ধ, সম্পূর্ণ অন্ধ, চোখের ভেতরে গুলি এবং প্যালেট ইত্যাদি) তাদের প্রিয়জনদের সাথে ঈদ কাটিয়ে আজ যখন তারা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ফিরে আসেন, কর্তৃপক্ষ ৪ জন ব্যতীত বাকি সবাইকে পলাতক দেখিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি। মানছি যেসব জুলাই আহত যোদ্ধা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে তাদের ব্যবস্থা নিন আমরাও তা চাই।
কিন্তু কতিপয়ের অপকর্মে ঢালাও ভাবে জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ভাবুন “২০-২৫ বছর পৃথিবীর আলো দেখার পর আর দেখবো না”- এটা কি আপনি আমি মেনে নিতে পারতাম? পরিবারের সাথে ঈদ করতে যাওয়াটা তার ট্রাউমেটাইজড মনের চিকিৎসার অংশও ছিলো।
জুলাই যোদ্ধা না হয় বাদই দিলাম মানুষের প্রতি এতটুকু মমতা না দেখলে দেশ বদলাবে কীভাবে? সামর্থবানদের কাছে উদাত্ত আহবান আপনারা এই অসহায় বীরদের পাশে থাকুন, নাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।
রিফাত