ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাগেরহাটের মাছের আড়ত আবারও সরগরম 

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২০:০৮, ১৩ জুন ২০২৫

বাগেরহাটের মাছের আড়ত আবারও সরগরম 

বাগেরহাটের মৎস্য আড়ত আবারও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়েছে। সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় শুক্রবার বাগেরহাটের দড়াটানা কেবি বাজারে বিকিকিনি শুরু হয়। এদিন সকালে সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণকেন্দ্রটিতে মাছ বোঝাই দুটি ট্রলার একসঙ্গে ঘাটে পৌছায়। এসময় শত শত মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও আড়তদার ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তবে চাহিদা বেশি থাকলেও মাছের সরবরাহ ছিল খুবই কম।

এদিন দেখা যায়, ট্রলার দু’টি থেকে শ্রমিকেরা ঝুড়িতে করে মাছ তুলছেন। ইলিশ, রুপচাঁদা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবা, ঢেলা, চ্যালাসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ উঠেছে বাজারে। তবে বাজারে যে পরিমাণ মাছ এসেছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে দাম ছিল চড়া।

সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরা জেলে ওসমান হাওলাদার বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার পরে কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছি। অল্প কিছু ইলিশ পেয়েছি, বাকি সব আজেবাজে মাছ। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ার কারণে চলে এসেছি।’

মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা জহর আলী বলেন, ‘দাম বেশি, তবু কিছু মাছ কিনেছি এলাকায় বিক্রি করতে।’
বাজারে ইলিশের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রুপচাঁদা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ ছাড়া কঙ্কণ, তুলারডাটি, ঢেলা, চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবাসহ নানা মাছ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধীরে ধীরে ট্রলারের সংখ্যা ও মাছের পরিমাণ বাড়লে দামও স্বাভাবিক হবে।

কেবি বাজারে মাছ বিক্রি হয় সাধারণত ‘পণ’ হিসেবে। এক পোণে ৮০টি মাছ থাকে। আকার অনুযায়ী প্রতি পোণের দাম নির্ধারিত হয়। ক্রেতারা ঢাকের শব্দে বিট দিয়ে মাছ কেনেন।

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, অবরোধের পর আজই প্রথম বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার এসেছে। তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছেন। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। তবে মাছ বেশি হলে দাম কমবে।

প্রসঙ্গত: মাছের প্রজনন ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ছিল।

 

রাজু

×