
কুষ্টিয়া শহরের পেয়ারাতলা এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাতে ঢাকা থেকে আসা সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনার বাংলা সড়কের তিনতলা একটি ভবনের নিচতলা থেকে সুব্রত বাইনকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি রিভলবার, চারটি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানের বিষয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আসা একটি টিম সুব্রত বাইনকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাইনি।কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানও একই কথা জানান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গ্রেফতারের সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলেন এবং দ্রুততার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করেন। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের দেখানো ছবির ভিত্তিতে নিশ্চিত করেছেন যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সুব্রত বাইনই ছিলেন।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে ঢাকার মগবাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সুব্রত বাইন আন্ডারওয়ার্ল্ডে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। তিনি ছিলেন ‘সেভেন স্টার গ্রুপ’-এর প্রধান। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি হত্যা মামলা রয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তার নামে পুরস্কার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, ভারতে গ্রেফতারের পর তিনি কলকাতার কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নেপালে পালিয়ে গিয়ে পুনরায় ধরা পড়েন। এরপর গোপনে বাংলাদেশে ফেরত এনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’-এ রাখা হয়।
সম্প্রতি তাকে কুষ্টিয়ার ওই বাড়িতে অবস্থান করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর দাবি, প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি সেখানে ছিলেন। বাড়িটির মালিক প্রয়াত মীর মহিউদ্দিন, যিনি আলমডাঙ্গার সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা ছিলেন।
রিফাত