
ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি চাকুরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন তারা। এতে সবগুলো গেট বন্ধ রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক, দুই ও চার নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়। তবে তিন নম্বর গেট বন্ধ না করায় তা জোর করে বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা। এ সময় বিক্ষোপ মিছিল চলছিল সচিবালয়ে।
আন্দোলনকারীদের দাবি সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু নিবর্তনমূলক ধারা সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা। এই অবস্থায় বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সঙ্গে বসবেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টার একটি বৈঠক হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকুরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া নিয়ে ফুসে উঠেছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা। নিজ নিজ দপ্তর থেকে নিচে নেমে সচিবালয়ের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা। সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তকে নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীরা এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। অন্যথায় আন্দোলন চলমান রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মিরাজ খান