
.
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন হবে এ আলোচনা এখন সর্বত্র। এ প্রশ্নে চারপাশে বইছে গরম হাওয়া। চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। জামায়াত, এনসিপি চাচ্ছে বিচার ও সংস্কারের পরে নির্বাচন আয়োজন করা হোক। তবে চব্বিশের বিজয় পরবর্তী ছাত্র-জনতার সমর্থনে গঠিত সরকারও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অনড় অবস্থানে। এমন প্রেক্ষাপটে নানা অজানা আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ নিয়ে অন্তত অর্ধডজন সরকারের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় জনকণ্ঠের। তারা বলছেন, সংস্কার এবং দুই হাজার ছাত্র-জনতার হত্যাকান্ডের বিচারের রোডম্যাপের আগে সরকার নির্বাচনের পথে হাঁটতে পারবে না। চলমান সংকটে সরকার একাধিকবার শহীদ পরিবারের সঙ্গে বসেছেন, তাদের চাওয়া চাহিদার বিষয়ে মতামত নিয়েছেন। তারা ড. ইউনূসকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাদের সন্তান হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চান। যদি বিচারের রোডম্যাপের আগে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হয় তাহলে তারা রাজপথে নামবেন বলেও আগাম বার্তা দেন।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কবে তার সঠিক বার্তা পেতে হলে বিচারের রোডম্যাপ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন বিচারের রোডম্যাপ পাওয়া যাবে তখন ভোটের রোডম্যাপের বার্তা পাওয়া যাবে। তার আগে অযৌক্তিক চাপ তৈরি করা হলে ড. ইউনূস দেশের জনগণকে জানিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন। তখন অবশ্যই তা দেশের এবং দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
এ দিকে সরকারের দেওয়া সম্ভাব্য ভোটের রোডম্যাপে আস্থা রাখতে পারছে না বিএনপি। এতদিন দলটি নানা ইঙ্গিতে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানে থাকলেও এখন সরকারকে নিয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে। তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চান বলে সরকারকে কঠোর বার্তা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ড. ইউনূস দ্রুত ভোট চান না বলেও মন্তব্য করছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানী টোকিওর নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রথমটি হচ্ছে সংস্কার, দ্বিতীয়টি হলো যারা অপরাধ করেছে (জুলাই গণঅভ্যুত্থানে) তাদের বিচার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা জনগণকে বলছি, নির্বাচন এ বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।’ তবে কিছু রাজনীতিবিদ নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা কেন, ডিসেম্বেরই নির্বাচন কেন নয়, সেই প্রশ্ন তুলছেন। দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। খুব দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল। অন্যদিকে শহীদ পরিবার এবং হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাতে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা চাচ্ছেন ভোটের আগে বিচারের রোডম্যাপ। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি অবস্থান তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ড. ইউনূস যদি রাজনৈতিক দলগুলোর চাপে দেশ পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত হন তাহলে তিনি জাতির কাছে সব প্রকাশ করে বিদায় নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। তখন পুরো দেশ, বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি মহাবিপদের মধ্যে পড়তে পারে। যেটা রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই পুষিয়ে উঠতে পারবে না। সময় থাকতে বিচারের রোডম্যাপ পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের সতর্ক হওয়ার বার্তা বিশেজ্ঞদের। তবে এখন পর্যন্ত শহীদ পরিবার, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রজনতার বড় অংশের সঙ্গে একসুরে রয়েছে সরকার।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, ডক্টর ইউনূস সাহেব তো বলেন নাই ভোট দেবেন না। তিনি অবশ্যই ভোট দেবেন। অনেক ছোট ছোট বাচ্চার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি একটা দায়িত্ব নিয়েছেন। তাকে তো তার দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত। কাজ করতে সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা কি রাজনৈতিক দলগুলো সে সুযোগ দিচ্ছি। উনি আসার এক সপ্তাহ পর থেকেই আমরা শুধু নির্বাচন নিয়ে দাবি তুলছি, আন্দোলন করছি। কত ধরনের রাজনৈতিক চাপের পরিবেশ তৈরি করছি। তার আগেতো ওনাকে দায়িত্বটা ঠিকভাবে পালন করতে দেওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতগুলো মানুষ কেন রক্ত দিয়েছে? প্রাণ দিয়েছে, দেশটা নতুনভাবে স্বাধীন করেছে সেটার চাহিদাতো পূরণ করতে দেওয়া উচিত। এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেন, এ যে শহীদ পরিবার চাচ্ছে আগে দেশটা সংস্কার হোক, তারপর তাদের সন্তানদের হত্যার বিচার হোক এরপর নির্বাচন। এই কথা তো ডক্টর ইউনূস সাহেবও বলছেন। আমরাও এই সুযোগ দেওয়ার সঙ্গে একমত কেন হতে পারছি না। নির্বাচনের জন্যতো জুডিসিয়াল থেকে স্থানীয় প্রশাসন, কমিশন সকল কিছু ঠিকঠাক করা প্রয়োজন। সেই সময়টা তো অবশ্যই দিতে হবে। প্রতিদিন আন্দোলন করলে তার সঙ্গে সংঘাতে লেগে থাকলে কিভাবে শহীদ পরিবারের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হবে। আমাদের বিশ্বাস উনি নির্বাচন দিবেন। তার আগে অবশ্যই সংস্কার বিচারের রোডম্যাপ তৈরি করবেন। তবে তিনি ভোটের পথে হাঁটবেন।
আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একবার চিন্তা করে দেখুন তো উনি যদি এভাবে রাজনৈতিক চাপে চলে যান এই দেশের কি হবে। আমরা কি ওনার চলে যাওয়ার পথ তৈরি করছি? চিন্তা করতে হবে। যদি না করি, ড. ইউনূস সাহেবকে থাকতে দিতে ইচ্ছে করি, তাহলে ভোটের পূর্বে সংস্কার এবং বিচারের রোডম্যাপ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে অপেক্ষা করা প্রয়োজন। এদেশের মানুষ শহীদ পরিবারের যে চাওয়া, আগে বিচার পরে ভোট সেই চাওয়ার সঙ্গে একমত হওয়া উচিত। আমি ব্যাক্তিগতভাবে শহীদ পরিবারের চাওয়ার সঙ্গে একমত। ভোটের আগে দুই হাজার ছাত্রজনতার হত্যার বিচারের রোডম্যাপ হওয়া আবশ্যক।
ভোট কবে হবে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন জুলাই গণহত্যার বিচারের রোডম্যাপ ও সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংস্কার এবং বিচারের রোডম্যাপ যত দ্রুত তৈরি হবে ভোটের তারিখ তত দ্রুত আসবে।
শহীদ শেখ ফাহমিন জাফরের মা কাজী লুলুন মাকমিন জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। কেন এতদিন লাগছে তাদের ফাঁসিতে ঝোলাতে। তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘোষণা দিয়ে আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে। তাদের ঝোলাতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগার কথা। কেন এত সময় লাগছে ? আমার সন্তান নির্বাচনের জন্য জীবন দেয়নি। যারাই ক্ষমতায় আসুক, তার আগে যেন আমার সন্তান হত্যার বিচার নিশ্চিত হয়।
শহীদ জাহিদুজ্জামানের মা বিলকিস জামান জনকণ্ঠকে বলেন, বিচার পেলেও আমাদের কলিজার ক্ষত শুকাবে না। তবে বিচার পেলে হয়তো আমাদের অন্তর কিছুটা হলেও শান্ত হবে। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। তা যেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই করা হয় আমি এই সরকারের কাছে আহ্বান জানাব। শিশু শহীদ জাবের ইব্রাহিমের মা রোকেয়া বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, শুধু আমার জাবির না আমি সকল সন্তান হত্যার বিচার চাই। আমার ছয় বছরের বাচ্চাকে ওরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার সন্তানের সকল রক্ত এই জমিনে পড়েছে। শত চেষ্টা করেও কেউ আমার জাবিরের রক্ত বন্ধ করতে পারেনি। শুধু আমার ছেলে নয় এভাবে ওরা শত শত হাজার মানুষকে মেরে ফেলছে। ওরা নেট বন্ধ করে জাহাঙ্গীরনগরে কয়েকটা বাচ্চাকে আইডি কার্ডসহ কবর দিয়ে ফেলেছে। ভ্যানের মধ্যে স্তূপ করে অনেক বাচ্চাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলছে। একজন খুনিও যাতে ছাড়া না পায় আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই। আগে ওদের বিচার হবে তারপর একটা নির্বাচন হোক। আমরা চাই না আমার সন্তান হত্যার বিচারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হোক। আমি আমার সন্তান এবং সকল সন্তানের হত্যার বিচার নির্বাচনের আগেই চাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে চাই। জীবন্ত অবস্থায় সন্তান হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘পতিত বাকশালী ও ফ্যাসিবাদীরা রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিদ্যমান অবস্থায় দেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। তাই অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠক ও এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জনকণ্ঠকে বলেছেন, দুই হাজার ছাত্রজনতার হত্যাকান্ড ও অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে সংস্কার ফেলে রেখে শুধু নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের রাজনীতি শুধু না, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়নের যে আকাক্সক্ষা মানুষের মধ্যে, সেটার জন্যে একটা ক্রাইসিস তৈরি করবে। আমরা মনে করছি জুলাই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে সংস্কার এবং বিচার প্রক্রিয়া খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে ভোটের বিষয়ও খুব দ্রুত অগ্রসর হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠক মাহিন সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হওয়া উচিত ছিল গণহত্যার বিচার। আমরা সংস্কার, নির্বাচন অবশ্যই চাই তবে তার আগে আমাদের চাওয়া শহীদ পরিবার যেন তাদের স্বজন হত্যার বিচার নির্বাচনের আগেই পান। শহীদ পরিবারের চাওয়ার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।
এদিকে ভোটের জন্য বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতির আহ্বান জানানো হয়েছে দলের হাইকমান্ড থেকে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তারুণ্য সমাবেশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সবাইকে বলছি, আপনারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আপনারা জনগণের কাছে যান, তারা কী বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, দেখলাম ইউনূস সাহেব জাপানে বসে বিএনপির সম্পর্কে বদনাম করছেন। একটু লজ্জাও লাগল না, দেশের সম্পর্কে বিদেশে বসে বদনাম করতে? তিনি বললেন, ‘একটি দল নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না’। আর আমরা (বিএনপি) বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চান না, তিনি হলেন ড. ইউনূস। উনি নির্বাচন চান না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সমগ্র জাতি একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমান। এটা তার বোঝা উচিত এবং খুব শিগগিরই একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেবেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে। কথা একটাই পরিষ্কার, যেসব সংস্কার ও বিচারের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কোনোদিন শেষ হয় না। সংস্কার অবিরাম চলতেই থাকে সমাজের চাহিদা এবং মানুষ ও দেশের প্রয়োজনে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ভোট আসলে কবে এটা সরকার ভালো জানেন। আমরাতো চাই দেশের জনগণ চায় যেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হয়।
প্যানেল