
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (১৯ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলার প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী কড়া ভাষায় নুসরাত ফারিয়ার ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার সঙ্গে যারা কাজ করেছে, তারা জনগণের ভালোবাসাকে অপব্যবহার করে ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছে।"
পিপি ওমর ফারুক আরও বলেন, "তারা জনগণের এই ভালোবাসাটাকে অপব্যবহার করে ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করে। যেসব জনগণ তাদেরকে ভালোবেসেছিল, ওদের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়িয়েছে। এবং তাদেরকে হত্যা করার জন্য, তাদেরকে ক্রসফায়ার দেওয়ার জন্য, তাদেরকে রাজনীতি বিচ্ছিন্ন করার জন্য, তাদেরকে পঙ্গু করার জন্য, তাদেরকে বাড়িঘরছাড়া করার জন্য এবং এক কথায় দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার জন্য তারা ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "এজহার করার পরেও আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে তাদের বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ডিভাইস, কথোপকথন, ফটো, স্ক্রিনশট এবং ফেসবুক কনভারসেশন সংগ্রহ করেছেন। এইসব আলামতে দেখা গেছে, এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার সঙ্গে যারা কাজ করেছে, তারা হাসিনাকে সহযোগিতা করেছে।"
পিপি জানান, "আগামী ২২ তারিখে বিজ্ঞ বিচারক তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তার বিষয়ে আরো কাগজপত্রসহ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।"
তিনি আরও জানান, "আজকে তাকে সিডব্লিউ মূলে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলাগুলোতে আমাদের অনেক আসামি রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের তদন্ত করে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি।"
পিপি বলেন, "এর আগে সে গেস্ট ছিল, তখন তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে বিষয়টি সামনে আসেনি। তবে পরবর্তীতে তদন্ত করে দেখা যায়, অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২২ মে।
আফরোজা