ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাটুরিয়ায় ইটভাটার গরম গ্যাসে নষ্ট শত বিঘা ধানক্ষেত

কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবি

মোঃ মাহবুবুর রহমান রানা, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৮:১০, ১৯ মে ২০২৫

সাটুরিয়ায় ইটভাটার গরম গ্যাসে নষ্ট শত বিঘা ধানক্ষেত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নে মেসার্স যমুনা ব্রিক্সস নামের একটি ইটভাটার গরম গ্যাস ও ক্ষতিকারক কালো ধোঁয়ায় শতাধিক বিঘা ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭৫ জন কৃষক অভিযোগ করেছেন, ফুকুরহাটি ইউনিয়নের হরগজ মৌজায় তিন ফসলি জমিতে পরিচালিত এ ইটভাটা থেকে নির্গত তীব্র গরম গ্যাস ও ধোঁয়ার কারণে প্রায় ১০০ বিঘা জমির ফসল পুড়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে ইউএনও ইকবাল হোসেন একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক মোহর আলী জানান, তার ৭ বিঘা ধানক্ষেত পুড়ে গেছে। যা কিছু অবশিষ্ট আছে, তাতেও ছিটা ধরেছে। আমার বড় ক্ষতি হয়েছে।একই এলাকার কৃষক শামীম বলেন, আমি ২৭ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গরম গ্যাসে সব শেষ হয়ে গেছে। আমি ক্ষতিপূরণ চাই।

আরেক কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১৫ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতির পর পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছি। হালিম নামে অপর এক কৃষক বলেন, আমার ইরিগেশনের ধানক্ষেত সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিয়েছি, তারা তদন্ত টিম গঠন করেছেন।”

এদিকে, ইটভাটার মালিক আবুল কালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কৃষকরা যেন ক্ষতিপূরণ পান, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোভা

×