ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাকসু পূর্নাঙ্গ তফসিল ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ 

লুবনা শারমিন, রাবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৯ মে ২০২৫

রাকসু পূর্নাঙ্গ তফসিল ও শতভাগ আবাসনের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের পূর্নাঙ্গ তফসিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে,অনাবাসিক আবাসন ভাতা দিতে হবে দিতে হবে,রাকসু দে হারামজাদা নাহলে জুবেরি ভবন চিবিয়ে খাব , সিন্ডিকেট কে না বলো, রাকসু গঠন কর ইত্যাদি লিখিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন,'আমাদের উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যেই তিনি রাকসু কার্যকর করবেন। কিন্তু রাকসুর যে রোডম্যাপ তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তার প্রাথমিক কার্য এখনো সম্পন্ন হচ্ছে না। আমরা এখন আর রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছি না। আজ ১৯ তারিখ মনোনয়ন পত্র দাখিলের কথা ছিল। উপাচার্য একটি ল্যাংড়া-কোমর ভাঙা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, আর সেটি যে একটি নির্বাচিত রাকসু আমাদের উপহার দিবে, সে বিশ্বাস আর আমাদের মাঝে বেঁচে নাই। আমরা এই কোমর ভাঙা নির্বাচন কমিশনকে বয়কট করছি'।

সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, 'উপাচার্য বললেন রাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে। তাহলে এখনও কেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কথার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন?'

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২ তলা থেকে ৫ তলা একেকটা মেস আছে। তাই এখানে হল করা যাবে না, সেই জায়গা থেকে তারা এক। এই সিন্ডিকেট না আওয়ামী লীগের, না বিএনপির না জামাতের। হল করার সদিচ্ছা থাকলে তা অবশ্যই সম্ভব হতো। এই রোডম্যাপটাও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এটাও আমলে নেয় নি। এমন শত শত বিষয়ে আশা দেয়া পর্যন্তই শেষ হয়ে যায়। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে তারা একটা স্বপ্নের জন্য জীবন দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই স্বপ্নের সাথে ধর্ষকের মতো ভূমিকা পালন করছে। তারা জুলাই বিপ্লবের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থেকে সেই রক্তের সাথেই বেইমানি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি গঠন করে।এই তদন্ত কমিটি ছয় মাসে একবারও আলোচনায় বসে নাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যে লোকগুলো বসে আছে, যারা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে তাদেরকে কাজ করানোর জন্য  আমাদের মাঠে নামতে হবে। এজন্য রাকসু নির্বাচন হওয়া জরুরি। রাকসুই শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন ইনফরমেশন সায়েন্স ও লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ, মতিহার হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান রিদয়, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আকিল বিন তালেব। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নোভা

×