
ছবিঃ সংগৃহীত
গাছ কাটার বিরোধের জেরে এক পুলিশ সদস্য বেধড়ক পিটিয়ে বড় ভাবি আসমা বেগমের তিনটি দাঁত ফেলে দিয়েছেন। এ সময় তার বড় ভাই এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্য সোহেল শেখের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৮ মে) সকাল ১০টায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামে। আহতরা হলেন লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী আসমা বেগম।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হলেন ওই গ্রামের আবুল হাশেম মিয়ার ছেলে সোহেল শেখ। তিনি ঢাকার একটি থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন লুৎফর রহমান।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ অনুযায়ী জানা যায়, কনস্টেবল সোহেল শেখ ছুটিতে বাড়ি এসে বড় ভাই লুৎফরের লাগানো একটি মেহগনি গাছ অনুমতি ছাড়াই কাটতে যান। এ সময় তার বড় ভাবি আসমা বেগম বাধা দিলে, সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং তার তিনটি দাঁত ভেঙে দেন।
পরে বড় ভাই লুৎফর রহমান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। বর্তমানে তারা দুজনেই ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমার দুই ভাই সোহেল কনস্টেবল এবং রিপন এএসআই পদে কর্মরত। তাদের দাপটে আমি এলাকায় শান্তিতে থাকতে পারি না। ছুটিতে এলেই আমাদের মারধর করে, বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।’
পুলিশ কনস্টেবল সোহেল শেখ এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, ‘মারামারির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নোভা