
গাইবান্ধায় ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারনে ধানগাছ জমিতে হেলে পড়ে এবং পানি জমে যাওয়ায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঝড়ের হাওয়া ও বৃষ্টির কারনে জমিতে পাকা ধান ছিল, সেগুলো মাটিতে পড়ে যায় এবং অনেক জায়গায় জমিতে পানি জমে যায়। অনেক কৃষক কাটা ধান মাঠে শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছিলেন, যা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। তা ভালোভাবে শুকাতে না পারলে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। ঠিক এই সময়েই হঠাৎ বৃষ্টির ফলে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কৃষক দুলাল ও লাবলু বলেন, “আমাদের অনেক ধান কেটে মাঠে রাখা ছিল। বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে ধান ডুবে গেছে। যদি এগুলো শুকাতে না পারি, তাহলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।” তারা জানান, তাদের এলাকায় এখনো অর্ধেকের বেশি ধান মাঠে রয়েছে। অনেক কৃষক কাটা ধান জমিতে রেখে ছিলেন, সেগুলো এখন পানির নিচে। যাঁরা এক-দুদিনের মধ্যে ধান কাটতে চেয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
সামাদ আরও জানান, তিনি ১৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন, যার মধ্যে ৮ বিঘার ধান এখনো মাঠেই রয়েছে এবং বৃষ্টির আঘাতে সব জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। চাষ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চাল আকারে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৮১৯ মেট্রিক টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে এখনো সময় লাগবে।” তিনি আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে কাটা ধানের জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নোভা