ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৩০২ হাটে কেনাবেচা হবে কোরবানির পশু

রাজশাহীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানিযোগ্য গরু-ছাগল রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১৬ মে ২০২৫

রাজশাহীতে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানিযোগ্য গরু-ছাগল রয়েছে

.

রাজশাহী জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু এবার চাহিদার চেয়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৬টি বেশি রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজশাহী জেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৩৭টি। আর জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, এবার রাজশাহী জেলায় কোরবানিযোগ্য গরু রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪২টি, মহিষ ৪ হাজার ২৪০টি, ছাগল ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৩টি এবং ভেড়া রয়েছে ৩০ হাজার ১৪৮টি। রাজশাহীর বিভিন্ন খামার ও বাড়িতে এসব গরু, ছাগল ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এ অঞ্চলের পশুহাট ছাড়াও খামার থেকে এসব পশু কেনাবেচা হবে।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের ৩০২টি হাটে কেনাবেচা হবে কোরবানির পশু। রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিস এক  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্বৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিভাগের এসব  হাটের মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, হাটগুলো মেডিক্যাল টিম দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হবে।
বিভাগের প্রতিটি জেলায় পশু কেনাবেচার জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটসমূহে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ও গাভীর গর্ভ পরীক্ষা করতে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দপ্তরটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ বছর রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করেছেন কৃষক ও খামারিরা।
এদিকে রাজশাহী নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট, বাজার, ও মার্কেটসমূহে আইনশৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী অঞ্চলের হাটের ইজারাদার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং বাজার কমিটি ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, মহাসড়কে পশুর হাট বসানো যাবে না। প্রতিটি পশুরহাটে সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর এবং নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পশু রাখার জন্য শেড তৈরি করা, আগত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখা কথাও বলেন। তিনি জাল টাকা শনাক্তকরণ ও লেনদেন সংক্রান্ত বুথ স্থাপনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। পশুরহাটে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি প্রতিরোধে টহল বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানান। সার্বিক নিরাপত্তায় হাট কেন্দ্রিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

প্যানেল

আরো পড়ুন  

×