ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উসকানি, হুমকির মুখে শুভেন্দু-ময়ূখ! উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২০ মে ২০২৫; আপডেট: ০৮:৩৭, ২০ মে ২০২৫

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উসকানি, হুমকির মুখে শুভেন্দু-ময়ূখ! উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

পুড়ছে ভারতের গণতন্ত্র,  মোদি শাসনের 'উন্নয়নের গল্প' তখন শহরের কেন্দ্রে এক মিথ্যের সাম্রাজ্যে আগুন লাগিয়েছে।

 

 

একদিকে রুপির দরপতন, অন্যদিকে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। কোটি কোটি বেকার তরুণ-তরুণী রাস্তায়। এই দৃশ্য শুধু দিল্লি বা মুম্বাইয়ে সীমাবদ্ধ নেই, তা ছড়িয়ে পড়েছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত। যেখানে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান সবাই এক কণ্ঠে বলছে, “বিজেপি হটাও, সংবিধান বাঁচাও!”

রাজপথে নেমেছেন দোকানদার, শিক্ষার্থী, চাকরি প্রত্যাশীরা। জাতীয় পতাকা হাতে, চোখে রাগ আর কণ্ঠে আগুন নিয়ে বলছেন, “বিজেপি আর সরকার নয়, এটি এক সামাজিক-অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারখানা!”

বিক্ষোভে আগুনে ঘি ঢেলেছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এক মন্তব্য। তিনি বলেন, “বাংলাদেশিদের দরকার নেই, চিকিৎসা করাতে হলে করাচি বা লাহোরে যান।” এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতের বহু নাগরিক, এমনকি হিন্দু ব্যবসায়ীরাও।

 

 

কলকাতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা-র সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষও হয়েছেন ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার। তাঁর কণ্ঠস্বর আর সংবাদ পাঠের ভঙ্গিমা এখন রসিকতার বিষয়। এক চায়ের দোকানে এক ব্যক্তি বলেন, “ময়ূখ সাংবাদিক না, তিনি গলার জোরে নাটক করেন। সরকারিভাবে নাট্যপাঠ করছেন।”

সম্প্রতি ময়ূখ রঞ্জন এক লাইভে বলেন, “জনগণের এই ক্ষোভ আসলে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র।” এর পরই উত্তাল হয় কলকাতা, কলেজ স্ট্রিট, হাওড়া, শিয়ালদহসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

 

 

 

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ঘিরে কলকাতায় তাঁর কুশপুতুল দাহ, পোষ্টারিং আর বিক্ষোভ চলছেই। কেউ বলছেন তিনি পালিয়েছেন, কেউ বলছে তিনি নেপালের কোনো মঠে আশ্রয় নিয়েছেন। দিল্লির একটি সূত্র জানায়, তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন।

একদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনায় ভারতের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসা পর্যটন বন্ধ হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো পড়েছে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে। কলকাতার এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ৩৫ শতাংশ রোগী বাংলাদেশ থেকে আসতেন। এখন রোগী না থাকায় কর্মী ছাঁটাই ও আয় কমে যাওয়ার মুখে তারা।

ত্রিপুরায় এক যুবক পোস্টার হাতে রাজপথে দাঁড়িয়ে। তাঁর চোখে বিদ্রোহের আগুন। পোস্টারে লেখা, “গণতন্ত্র বাঁচাতে লড়তে হবে।” সামনে পুলিশ, জলকামান, কিন্তু তিনি জানেন, এই লড়াই শুধু তাঁর নয়, পুরো ভারতের।

 

 

এ লড়াই কেবল বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, একটি বিভাজনমূলক, উগ্র মতাদর্শের বিরুদ্ধেও। মানুষ এখন চায় রুটি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সম্মান। সেই দাবিতেই ইতিহাস রচিত হচ্ছে ভারতের রাজপথে।

প্রথম পাতায় লেখা হচ্ছে এক নতুন গল্প,
“বিজেপি হটাও, সংবিধান বাঁচাও।”

আঁখি

আরো পড়ুন  

×