
ছবিঃ হিন্দুস্তান টাইমস
গত দুই সপ্তাহে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অন্তত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন হরিয়ানাভিত্তিক ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা এবং একজন স্থানীয় ভুয়া ডাক্তার।
ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা (হরিয়ানা) এবং গুজালা (৩১) (পাঞ্জাব) দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাই কমিশনের কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন বলে অভিযোগ।
১। জ্যোতি মালহোত্রা: তিনি পাকিস্তানের ভিসার জন্য হাই কমিশনে গেলে দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি একাধিকবার পাকিস্তান ও একবার চীন সফর করেন এবং সন্দেহ করা হচ্ছে তাকে ভবিষ্যতের গুপ্তচর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছিল। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন, তার আর্থিক লেনদেন ও ভ্রমণ ইতিহাস তদন্তাধীন।
২। গুজালা: তিনি স্বীকার করেছেন যে ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কাছে অর্থের বিনিময়ে পাঠিয়েছেন। দানিশ তাকে ₹৩০,০০০ পাঠিয়েছিলেন বলে পিটিআই জানিয়েছে।
৩। শেহজাদ (রামপুর, উত্তরপ্রদেশ): সীমান্ত পারাপার চোরাচালান ও পাকিস্তানে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার।
৪। ফালাকশের মাসিহ ও সুরজ মাসিহ (অজনালা, পাঞ্জাব): সেনা ছাউনি ও বিমান ঘাঁটির ছবি সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে পাঠানোর অভিযোগ।
৫। ইয়ামিন মোহাম্মদ (মালেরকোটলা, পাঞ্জাব): পাকিস্তান থেকে অনলাইন পেমেন্টের বিনিময়ে সংবেদনশীল তথ্য পাঠানোর অভিযোগ।
৬। সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং (গুরদাসপুর, পাঞ্জাব): সেনা চলাচল এবং কৌশলগত স্থানগুলোর তথ্য পাকিস্তানে পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্বে মাদক পাচারেও জড়িত ছিলেন।
৭। নোমান ইলাহী (পানিপত, হরিয়ানা): তিনি একটি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন এবং পাকিস্তানে সংবেদনশীল তথ্য পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার।
৮। দেবেন্দর সিং (কৈথাল, হরিয়ানা): ২৫ বছর বয়সী এই পিজি ছাত্র অস্ত্রসহ ছবি পোস্ট করতেন এবং এক তীর্থযাত্রায় পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সংস্পর্শে আসেন। পাটিয়ালা ছাউনির ছবি পাঠানোর অভিযোগ।
৯। আর্মান (নুহ, হরিয়ানা): পাকিস্তানি হাই কমিশনের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য পাচারের অভিযোগ।
১০। মোহাম্মদ তারিফ (নুহ, হরিয়ানা): তিনি পাকিস্তান সফরে গিয়ে হাই কমিশনের কর্মীদের একটি সিমকার্ড দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
পেহেলগাম হামলা ও ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর এসব গ্রেফতার হয়েছে। হিসার জেলার পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার সাওয়ান বলেন, "এটিও এক ধরনের যুদ্ধ, যেখানে পাকিস্তান প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে তাদের মতবাদ ছড়াতে চায়।"
সকল অভিযুক্তের আর্থিক লেনদেন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ডিজিটাল ট্রেইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মুমু