
ছবি: সংগৃহীত।
অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার অভিযোগে ভারতের একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, নির্বাহী ও কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “আমরা অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, নির্বাহী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখব।”
এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরতদের ফেরত পাঠানো এবং সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে কতজন ভারতীয় এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, কিংবা তাদের পরিচয় কী—সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতের ভিসা প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মার্কিন মিশনের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রুস আরও বলেন, “আমরা অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় এসব নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অপব্যবহার যেকোনোভাবেই হোক, তা সহ্য করা হবে না।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের উদ্দেশে দেশটির দূতাবাস একাধিক সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনুমোদিত সময়সীমা পার করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা অভিবাসন আইনের লঙ্ঘন, যা ভবিষ্যতে আজীবনের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ধারাবাহিক অংশ। ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং মানব পাচারের অভিযোগে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার কিছু নাগরিকের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন সীমান্ত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি—ভারতীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি অংশ মেক্সিকো সীমান্ত ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
নুসরাত