
ছবি: জনকন্ঠ
পটুয়াখালীর জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলাটি পায়রা নদী বেষ্টিত। কিন্তু উপজেলার বেড়িবাঁধ গুলোর অবস্থা খুবই নাজুক ও নড়বড়ে। বর্ষায় পায়রার ভাঙ্গন শুরু হয়। সামান্য স্রোতে যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে অরক্ষিত বেড়িবাঁধ। বর্ষা এলেই ভয় আর আতঙ্কে কাটে উপকূলে বসবাসরত মানুষের দিন।
হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া বাজার ও গোলখালী সুইসগেটটি। স্রোতের তোপে দুমড়েমুচড়ে এটি বিলিয়ে যেতে পারে পায়রার বুকে। প্রতি বছরই এই দুর্বিষহ জীবন পার কারতে হয় নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। বর্ষা শেষে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে নামে মাত্র মাটি দিয়ে সংস্কারের নামে লোপাট হয় বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।
দেখা গেছে, পায়রা নদীর বিরামহীন ভাঙ্গনের মুখে দিনে দিনে ছোট হচ্ছে মির্জাগঞ্জের মানচিত্র। পায়রারা তীব্র স্রেতে উপজেলার পিপঁড়াখালী শাহজাহান হাওলাদার বাড়ী সংলগ্ন ভেরিবাধটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বসতবাড়ি সহ কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই ভাঙ্গনের কবলে নদীর গর্ভে বিলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার গোলাখালী, চরখালী, মেহিন্দাবাদ, কাকড়াবুনিয়া, ভয়াং, রামপুর, সন্তোষপুরাহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ। ইতোমধ্যে পায়রা নদী গিলে নিয়েছে সুন্দ্রাকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুন্দ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপুর দাখিল মাদ্রাসা। ঝুঁকিতে রয়েছে পিঁপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙা বাঁধ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যেকোনো সময় বাঁধ সম্পুর্নভাবে বিধ্বস্ত হয়ে বাড়ি-ঘর, জমিজমা ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। দ্রুত এই বাঁধের সংস্কারের দাবি জানাই।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব জানান, অতি শীঘ্রই ভাঙা বাঁধ সংস্কার করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুমু