ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মেগাপ্রকল্প গিলতেও পারছি না ফেলতেও পারছি না, কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে যা বললেন উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২০ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:১০, ২০ মে ২০২৫

মেগাপ্রকল্প গিলতেও পারছি না ফেলতেও পারছি না, কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে যা বললেন উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ জুন। এর আগেই নতুন অর্থবছরের বাজেট কাঠামোতে বড় ধরনের কাটছাঁটের ইঙ্গিত মিলেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নয়ন ব্যয় চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা হচ্ছে।

 

 

রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবারের এডিপির মোট আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০০ কোটি টাকা, যেখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১১০০-এর বেশি উন্নয়ন প্রকল্প।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বৈঠক শেষে জানান, “আমরা বাজেটের আকার ছোট করছি কারণ অনেক প্রকল্প রয়েছে যেগুলো আমরা গিলতেও পারছি না, ফেলতেও পারছি না।”

তিনি আরও জানান, ৫৮ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। তবে নতুন বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ বরাদ্দ বাড়ছে না।

 

 

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বিশেষভাবে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের উদাহরণ টেনে বলেন, “টানেলটি নির্মাণ করা হলেও এর অপর প্রান্তে কিছুই নেই, শুধু একটি ছয় তারকা রিসোর্ট। এই টানেল দিয়ে কোথায় যাবো, তাও আমরা জানি না।”

তিনি বলেন, “এই রিসোর্ট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়, কিন্তু এটি চালু রাখতে এখন নতুন প্রকল্প লাগবে। ফলে ঋণ নিয়ে এ ধরনের মেগা প্রকল্প করে বাজেট বাড়ানো হবে না।”

 

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, “ঘাটতি বাজেটের ফলে ভবিষ্যতে সরকারের ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে।” তবুও সরকারের চেষ্টা রয়েছে জ্বালানি খাতে বকেয়া পরিশোধে অগ্রাধিকার দেয়ার। তিনি বলেন, “সরকার চায় বকেয়া শূন্যে নামিয়ে আনা হোক।

আঁখি

×