ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

পূজামণ্ডপে ইসলামি গান, শিবিরের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা জানালো জামায়াত 

প্রকাশিত: ০১:৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪

পূজামণ্ডপে ইসলামি গান, শিবিরের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা জানালো জামায়াত 

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামি গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে। নগরীর জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামে একটি ইসলামি গানের দল ওই গান পরিবেশন করে। গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়। এ অবস্থায় পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির।

এ প্রসঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূজামণ্ডপে ইসলামি গান পরিবেশনের বিষয়টি শুনেছি। তবে পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠী কিংবা শিবিরের কোনও সংগঠন ওই পূজামণ্ডপে যায়নি বলে খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তবে এখানে শিবিরকে জড়িয়ে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টি আমরা ফেসবুক লাইভে এসে বিস্তারিত জানাবো।’ 

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতের কোনও সাংস্কৃতিক সংগঠন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও সংগঠন নয়। তারা কারা আমরা জানি না।’

একই কথা বলেছেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এই গানের দলের সঙ্গে জামায়াত কিংবা শিবিরের কোনও সম্পর্ক নেই। গান করার সময় জামায়াতের কেউ অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন না। তবে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই নাকি ওই দলটি সেখানে গিয়ে ইসলামি গান পরিবেশন করেছে। সেখানে গিয়ে তারা জোর করে গান পরিবেশন করেছে তা কিন্তু নয়। পরে আমি ফেসবুকে দেখলাম তারা যে গান দুটি পরিবেশন করেছে, সেগুলোর একটি শাহ আবদুল করিমের আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম এবং আরেকটি শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান। গান দুটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির। অথচ একদল মানুষ ফেসবুকে এটি নিয়ে জামায়াত ও শিবিরের সমালোচনা করছে; যা ঠিক নয়।’

এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর মহানগরের প্রচার সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হাসপাতাল থেকে বাসায় এসেছি। আজ জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে আমাদের সংগঠনের কোনও অনুষ্ঠান ছিল না। সেখানে আমাদের সংগঠনের কেউ যায়নি। শিবিরের সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেছেন একদল তরুণ। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সংগঠন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্যরা এটি করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজামণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা ওই সংগঠনটিকে জামায়াত ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেছেন। যদিও জামায়াত ও শিবির জানিয়েছে, তারা এই গান করার বিষয়ে কিছুই জানে না, গানের দলটিও তাদের কোনও অঙ্গসংগঠন নয়।

বারাত

×