
বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ফোন
বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ফোন। এই ডিভাইসটি ছাড়া এখনকার যুগে যেন বেঁচে থাকা কষ্টকর। তবে পৃথিবীর সব দেশে ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু সমান নয়। কোনো কোনো দেশে ফোন ব্যবহারের হার বেশি। কোনো দেশে কম। সম্প্রতি কোন দেশের মানুষ মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপে কতক্ষণ সময় কাটায় সেই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল ইওয়াই এবং এফ আইসিসিআই প্রতিষ্ঠান দুটি।
যৌথ প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ফোন ব্যবহার করেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ। তারা সারাদিনে বিভিন্ন অ্যাপে গড়ে ৬.১ ঘণ্টা সময় কাটান।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। সে দেশের মানুষ বিভিন্ন অ্যাপের পেছনে সারাদিনে গড়ে ব্যয় করেন ৫.৬ ঘণ্টা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। এখানকার মানুষ সারাদিনে ৫.৩ ঘণ্টা সময় কাটান মোবাইল অ্যাপে।
সৌদি আরবের নাগরিকরাও মোবাইলের পেছনে সারাদিনে ব্যয় করেন ৫.৩ ঘণ্টা সময়। তারা রয়েছেন, এই তালিকার চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সাম্বার দেশের মানুষ দিনের মধ্যে প্রায় ৫ ঘণ্টা মোবাইল ঘেঁটেই কাটিয়ে দেন।
তালিকার ষষ্ঠ স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা অনুযায়ী, দিনের ৪.৮ ঘণ্টা মোবাইলে কাটান ভারতীয় নাগরিকরা।-অনলাইন
করার বিষয়টি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সে লক্ষে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দলীয় রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপি সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয় করা পরপর দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা ‘উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন এমনকি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপি মনে করে জনগণের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিকল্প নেই।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন। আপনাদের প্রতি আমার স্পষ্ট বার্তা, জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা কিংবা বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ সমুন্নত রেখেছে। এ কারণেই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়েও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
তারেক রহমান বলেন, দেশ বর্তমানে ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আর অসংখ্য ছাত্র-জনতার নিদারুণ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
তবে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি সতর্ক থাকলে বাংলাদেশকে আর বিপথে নেওয়া যাবে না। পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা গণভবন ছিল দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী স্মারক। গণভবন বর্তমানে স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, অনাচার ও অপকর্মের প্রতীক।
তারেক রহমান বলেন, ২০০৯ সালের পিলখানায় সেনাহত্যা থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর হত্যাকা-, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সময় গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে স্বৈরাচারী ও বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মিউজিয়াম সেই বার্তাই বহন করবে।