ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

মিয়ানমার দিয়ে আসছে চালান ইয়াবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইস

মাদকের আগ্রাসনে দেশ

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মাদকের আগ্রাসনে দেশ

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ আগুনের লেলিহান শিখা যেমন সব কিছু ছারখার করে দেয়, মাদকের আগ্রাসন তার চেয়েও ভয়াবহ। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে উৎপাদিত হয়ে মরণনেশা ইয়াবা যেভাবে বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে তা যেন মাদকের দাবানল। দেশের আনাচ-কানাচ পর্যন্ত গ্রাস করেছে ইয়াবা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলভুক্ত দেশসমূহের সীমান্ত এলাকায় আফিম উৎপাদন অঞ্চলে বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত আরেক মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। এই আইসও আসছে মিয়ানমার হয়ে। দেশের দক্ষিণ পূর্বে মিয়ানমারের যে স্থল, নদী ও সাগর সীমান্ত রয়েছে-এর পুরোটাই জুড়ে নানা পয়েন্ট দিয়ে চালানে-চালানে আসছে এসব মরণনেশার মাদক ও স্বর্ণসহ চোরাচালানের পণ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদকের আগ্রাসন রোধে সরকার ২০১৮ সালে মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন পাস করে। এই আইন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু নতুন আইনকে তোয়াক্কা না করে পুরো মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা এসব মাদক ও চোরাচালানের রুটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কোনভাবেই চোরাচালান থামানো যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক বছরে মাদকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বর্ণের চোরাচালানও। ২৭০ কিলোমিটার জুড়ে মিয়ানমার সীমান্তের পুরোটাই যেন নিষিদ্ধ মাদক পাচারের রুট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যা ধরা পড়ছে বাস্তবে পার পেয়ে যাচ্ছে এর চেয়ে বহুগুণ বেশি। সূত্রমতে, প্রতিবেশী মিয়ানমার বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। প্রথমত, লাখে লাখে রোহিঙ্গার ওপর বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তের এপারে অর্থাৎ বাংলাদেশে। যা সংখ্যায় ১৩ লাখেরও বেশি। দ্বিতীয়ত, মিয়ানমার তাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক, ইয়াবা, আইস, স্বর্ণ এদেশে পাচারের রুট যে খুলে দিয়েছে তা রীতিমত ওপেন সিক্রেট। ইয়াবা মিয়ানমারে উৎপাদন হচ্ছে সীমান্ত এলাকার অদূরে। প্রকাশ্যে সেদেশের দুষ্টচক্র ৪৭টি কারখানা থেকে উৎপাদিত ইয়াবার পুরোটাই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বিপরীতে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। চোরাচালান চক্রের গডফাদাররা ইয়াবা, আইস জাতীয় মাদকের জন্য বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন আইনের সুফল কী আসছেÑএখন সেটা বড় ধরনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারী পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৬ বছরে কমপক্ষে ৯ কোটি পিস ইয়াবা এবং ৬ বছরে ৫০ কেজিরও বেশি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। আর কী পরিমাণ ফাঁক ফোকরে পার পেয়ে গেছে তার পরিসংখ্যান পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। দেশের বিভিন্ন স্থানে চালানে-চালানে এসব মাদক পৌঁছে যাওয়ার বিষয়টি মারাত্মক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়া এসব মাদক ছাড়াও ভিন্ন পথে আসা আরও বহু মাদকের ছড়াছড়ি এদেশে। যুব সমাজের এসব মাদকে আসক্তি বেশি। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে অনুরূপ আসক্তিতে। অতীতে এক সময় আরেক প্রতিবেশী দেশ ভারতে উৎপাদিত ফেনসিডিলের আগ্রাসন ছিল এদেশে। এখন মিয়ানমারের ইয়াবা ও আইস দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কেন রোধ করা যাচ্ছে না এ আগ্রাসন। অল্পতেই বেশি মুনাফা। এ কারণে পাচারকারীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি সেবনকারীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। মূলত এই কারণে ইয়াবার আগ্রাসন রোধ করা যাচ্ছে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। উল্লেখ্য, স্থলপথ, নদীপথ, সাগর পথ সব দিক দিয়ে মিয়ানমারের অসাধু ও কুচক্রীমহল তাদের অপবাণিজ্যের স্বার্থে মাদক পাচারের জন্য রুট হিসেবে টার্গেট করেছে বাংলাদেশকে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার কঠোর নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান ঢুকছে। প্রসঙ্গত, এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারাই মূলত মাদক ও চোরাচালান পণ্যের ক্যারিয়ার। তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও জড়িয়ে পড়েছে। অল্পতেই বড় মুনাফা। তাই ক্যারিয়ারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পাচারের কৌশলও প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে। কতভাবে না আসছে মাদকের চালান। গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারীতে বড় আকৃতির বেশ কিছু কচুর ভেতর করে আনা হয়েছে ইয়াবার চালান। এর আগে বিভিন্ন পণ্যের চালানে, বিভিন্ন যানবাহনে, এমনকি মানুষের পায়ু পথেও ইয়াবার চালান আনার ঘটনা রয়েছে। বেসরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্যারিয়ারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। হাটহাজারীতে কচুর ভেতর করে আনা ইয়াবার সঙ্গে জড়িত তিনজনই আপন বোন। এদের পুরো পরিবারও ইয়াবার সঙ্গে জড়িত। আরও ৫ বোন এ কাজে সংশ্লিষ্ট বলে তারা স্বীকার করেছে। দেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে পুরো সীমান্ত এলাকা জুড়ে বিভিন্ন মাদকের চালান ¯্রােতের ন্যায় ঢুকার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল। কিন্তু কোনভাবেই তা রোধ করা যাচ্ছে না। দাবানলের মতো মাদকের আগ্রাসনে ছারখার হয়ে যাচ্ছে এদেশের সামাজিক পরিবেশ। নেশার বিপরীতে অর্থ যোগাতে অনেকে বেআইনী পথ বেছে নিয়েছে। বহু সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। খুন-খারাবির ঘটনাও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানিয়েছে, মাদকবিরোধী নতুন আইন করার পরও এর দমন হচ্ছে না চোরাচালানি চক্র। অতিরিক্ত লাভের নেশায় মাদক পাচারের কাজে জড়িত হচ্ছে নতুন নতুন ক্যারিয়ার। এ ছাড়া এপারের চোরাচালানিদের যোগসাজশে কক্সবাজার অঞ্চলের দুষ্ট চক্রের সদস্যরা এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এরাই আবার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে সারাদেশে। এখন শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও মরণনেশার এসব মাদক মিলছে অবাধে। অপরদিকে, গডফাদাররা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। মাঝে মাঝে ক্যারিয়াররা মাদকসহ ধরা পড়ছে। অনেকে জেলে যাচ্ছে, ফের বেরিয়ে আসছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়টি লক্ষ্যণীয় নয়। আইনের ফাকফোঁকরে এরা জেলমুক্ত হয়ে আবারও নতুনভাবে মাদক কারবারে কাজে জড়িত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার অসাধু কিছু সদস্যও ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে ধরা পড়ে রেকর্ড গড়েছে। বর্তমানে পর্যটকবেশেও অনেকে কক্সবাজার অঞ্চল থেকে ইয়াবা বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। কখনও স্থলপথে আবার কখনও আকাশ পথেও। এছাড়া সমুদ্র পথে এ পাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট সদস্যরা। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে তারা লিখিতভাবে ৪৭টি স্থানে ইয়াবার কারখানার তথ্য সে দেশের সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু এসব কারখানা আজ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি, উল্টো উৎপাদন আরও বাড়ানো হয়েছে। কেন না, এদেশে ইয়াবার আগ্রাসন বাড়তে থাকায় চোরাচালানের পরিমাণও বেড়েই চলেছে। এদেশে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, এপিবিএন ইত্যাদি সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত মাদকের চালান কোন না কোন স্থানে আটক করছে। কিন্তু থামানো যাচ্ছে না। ওপারের পুরো মিয়ানমার সীমান্ত এলাকাই যেন মাদকের উন্মুক্ত এলাকায় পরিণত হয়ে আছে। এসব মাদক পাচারে অতি লাভের বিষয়টি আকর্ষণ করছে চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িতদের। অর্থাৎ লাভের বিপরীতে লোভের বিষয়টি ক্রমশ বিস্তৃতি পাচ্ছে। সর্বশেষ শনিবার টেকনাফে ১ লাখ ৩৩ হাজার পিস ইয়াবার একটি চালান আটক হয়েছে। এদিকে, মিয়ানমার থেকে এখন চোরাচালানে স্বর্ণও আসা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উখিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকারও বেশি স্বর্ণালঙ্কার, যা মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হয়ে এদেশে এসেছে। এখানে উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ২০ হাজারের মতো ইতোমধ্যে স্থানান্তর হয়েছে ভাসানচরে। ৩৪ আশ্রয় কেন্দ্রের অভ্যন্তরে মাদক কারবারি ও স্বর্ণ চোরাচালানিদের রমরমা কাজ কারবার। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারও হচ্ছে এসব আশ্রয় শিবিরে। ফলে ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহসহ বেশকিছু হত্যাকা-ের ঘটনাও ঘটেছে। মাদকের আগ্রাসন প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মাদকের ভয়াবহতা বর্তমানে দেশের সর্বত্র। মাদকের থাবায় তছনছ হয়ে যাচ্ছে গোটা সমাজ। মাদক পাচার, সেবন, উৎপাদনে সম্পৃক্তরা দেশী-বিদেশী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাদককে আন্তর্জাতিকীকরণের পথকে সুগম করেছে। বাংলাদেশে মাদকপাচারের রুট সত্ত্বেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। এছাড়া মাদকসেবীরা এদেশেরই নাগরিক। এদের কেন মাদকের ভয়াবহতা থেকে নিবৃত করা যাচ্ছে না সেটিও আলোচনার বিষয়। মাদকসেবীদের সামাজিক কর্মকা-ে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে সামাজিক দায়বদ্ধতা করতে পারলে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরি হয়। অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রোএ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ের চর্চা করতে হবে যার মাধ্যমে ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। শুধু তাই নয়, পরিবার ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভূমিকা যুব সমাজকে মাদকের থাবা থেকে অনেকাংশে দূরে রাখতে সক্ষম হবে। নতুন আইনে বলা হয়েছে এ্যালকোহল ব্যতীত অন্যান্য মাদকদ্রবের উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবহার হয় এমন কোন দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন বা পরিবহন ও আমদানি-রফতানি করা যাবে না। এ জাতীয় মাদক সরবরাহ, বিপণন, কেনাবেচা, হস্তান্তর, গ্রহণ-প্রেরণ, লেনদেন, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, সেবন বা ব্যবহার করা যাবে না। নতুন আইন লঙ্ঘনে সাজার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে কোথাও পপি ফল বা বীজ পাওয়া গেলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কোথাও ১০টি বা তার কম পপি গাছ অথবা সে গাছের ফল বা বীজ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। গাছের সংখ্যা ১১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- এবং গাছের সংখ্যা ১০০-এর বেশি হলে কমপক্ষে ১০ বছর ও সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদ- দেয়া যাবে। এছাড়া কোথাও ১০টি বা তার কম কোক গাছ বা কোক গুল্ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। গাছের সংখ্যা ১১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ৫ থেকে ১০ বছর কারাদ- ও অর্থদ- এবং সংখ্যা ১০০-এর বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদ- দেয়া যাবে। আফিম বা আফিম দ্বারা তৈরি নেশাদ্রব্য ১০০ গ্রাম বা তার বেশি হলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। একই নেশা দ্রব্যের পরিমাণ ১০০ থেকে ১০০০ গ্রামের মধ্যে হলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- এবং ১০০০ গ্রামের বেশি হলে ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। ৫ গ্রাম পর্যন্ত কোকেন, হেরোইন, মরফিন ও পেথিডিন পাওয়া গেলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। এই মাদকের পরিমাণ ৫ থেকে ২৫ গ্রামের মধ্যে হলে ৫ ম থেকে ১০ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- এবং মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা তার বেশি হলে যাবজ্জীবন কারাদ- বা মৃত্যুদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। ইয়াবা বা এ্যামফিটামিনের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ বহন বা পরিবহন ও আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। ইয়াবার পরিমাণ ১০০ থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদ- ও অর্থদ- দেয়া যাবে। ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রাম বা এর বেশি হলে যাবজ্জীবন কারাদ- বা মৃত্যুদ- বা অর্থদ- দেয়া যাবে। ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে এই আইন পাস হওয়ার পর মাদক নিয়ে এ পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদ- দেয়ার রেকর্ড হয়নি।
×