দিনে ৬টির বেশি সেলফি তোলা রোগ
মোবাইল ফোনে সেলফি তোলা অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু কত প্রিয় হলে তা ‘নেশা’ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত?
গবেষকরা বলছেন, সেলফি তোলার আসক্তি সত্যি সত্যিই একটা ‘সমস্যা’- এবং দিনে ৬টির বেশি সেলফি তোলা এবং তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করার তাড়না বোধ ক্রনিক সেলফাইটিস হিসেবে পরিচিত। এই ক্রনিক সেলফাইটিসকে এক ধরনের রোগ বলা হচ্ছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের থিয়াগারাজার স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট মিলে একটি জরিপ করেছে। এতে বলা হয়েছে ৬টির বেশি সেলফি তোলা সেলফাইটিস রোগ। গবেষণায় জুনায়েদ আহমেদ নামে একজনের কথা বলা হয়েছে। বাইশ বছর বয়সী জুনায়েদ আহমেদ থাকেন ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টিতে। তিনি প্রতিদিন প্রায় ২শ’ সেলফি তোলেন। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার বা অনুসারী আছে ৫০ হাজার। তিনি কখন সেলফি পোস্ট করবেন সেই সময়টাও ঠিক করেন খুব ভেবে চিন্তে যাতে বেশি লাইক পাওয়া যায়। যদি কোন ছবিতে ৬শ’র কম লাইক পড়লে সেটা তিনি ডিলিট করে দেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি সেলফিতে আসক্ত। তার কথা, আমি যখন একটি সেলফি পোস্ট করি, প্রথম দু-এক মিনিটের মধ্যে আমি ১শর মতো লাইক পাই, আমার ফোনটার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সে এক দারুণ ব্যাপার।
তিনি এও স্বীকার করেন যে এই সেলফির তাড়নার কারণে তা প্রিয়জনদের সঙ্গে সমস্যা হয়। এখন সেলফির জন্য তিনি তার নিজের চেহারাও আপগ্রেড করেছেন বা উন্নতি ঘটিয়েছেন। জুনায়েদ বলেন, আমি আমার দাঁত সাদা করিয়েছি, চিবুক, চোয়াল, ঠোঁট ও গাল ভরাট করিয়েছি, চোখ এবং চুলে বটক্স লাগিয়েছি, ভ্রু-তে ট্যাটু করিয়েছি, চর্বি কমিয়েছি। ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক রয়্যাল সোসাইটি এখন সরকার ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এমন ব্যবস্থা করে যাতে একটানা দুই ঘণ্টা অনলাইনে কাটালেই তার ফোনে একটা বার্তা দিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়। -বিবিসি অবলম্বনে।