ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৮ অক্টোবর ২০১৭

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মেরামত না হওয়ায় কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। ভাঙ্গনের কবলে পড়া এবং মারাত্মক ক্ষতির ফলে অনেক স্কুলে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখলেও উপস্থিতির ব্যাপারে অনীহা দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের। পাঠদানের উপযোগী না হওয়ায় নামমাত্র কার্যক্রম চলছে এসব স্কুলে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেলার ৪২১টি ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল মেরামতের জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে সদর উপজেলার ২ নং চরযাত্রাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ধসে গেছে গত জুন মাসে। ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি টিনশেড ঘরে স্কুলের কার্যক্রম চললেও সেটিও বিলীনের অপেক্ষায়। ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙ্গনে ব্যাহত শিশুদের শিক্ষাজীবন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একেবারে নদের কিনারে স্কুলটি চলছে। ধসেপড়া ভবনের রডগুলো বেরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে আছে। বর্তমানে যে টিনশেড ঘরে স্কুল চলছে, তার পূর্ব প্রান্তের অংশবিশেষ ধসে গেছে। তিনটি মাত্র কক্ষ রয়েছে এতে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জোবাইদুল জানান, বন্যায় তার বই খাতা ভিজে গেছে। স্কুল অনেকদিন বন্ধ ছিল। তাই ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। এ অবস্থায় দিতে হচ্ছে পরীক্ষা। একই ক্লাসের শিক্ষার্থী ঋতু বলেন, ‘স্কুল ভেঙ্গে গেছে। আমরা স্কুলে আসতে ভয় করি। বারান্দায় দাঁড়ালে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আমার মা-বাবা স্কুলে আসতে দেয় না।’ একই কথা বলে চতুর্থ শ্রেণীর মৌসুমী ও তৃতীয় শ্রেণীর রেজাউলসহ অনেকেই। ২ নং চরযাত্রাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ খন্দকার জানান, স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। বর্তমানে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চললেও গরহাজির অনেক শিশু শিক্ষার্থী। তিনি জানান, স্কুলের ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছেন মাত্র ৩২০ জন। বাকিরা পার্বতীপুর চরসহ বিভিন্ন এলাকায় বাস করছে। দূরবর্তী এলাকায় রাস্তা ভাঙ্গা ও নৌকার অভাবে স্কুলে আসতে পারছে না।
×