
ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীর মনেই থাকে। তবে কোথায় পড়াশোনা করলে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে, স্থায়ী হতে সহজ হবে, কিংবা স্বল্প খরচে উচ্চমানের ডিগ্রি অর্জন করা যাবে—এই প্রশ্নে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। বিশেষ করে ২০২৫ সালের বৈশ্বিক চাকরির বাজার ও অভিবাসন নীতির দিকে তাকালে, কিছু দেশ শিক্ষার্থীদের জন্য সত্যিই “স্বর্গ”।
আজকের তালিকায় থাকছে এমন ১০টি দেশ, যেগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভালো—কারণ এই দেশগুলোতে আপনি উচ্চমানের ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি পড়াশোনার পর বৈধভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। এর ফলে পড়াশোনার খরচ তুলেও নেওয়া সম্ভব, আবার ভবিষ্যতে স্থায়ী হওয়ার পথও খুলে যায়।
যারা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ার বাস্তব সুযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য এই তালিকা হতে পারে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দিকনির্দেশনা।
১. যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা)
কেন সেরা:
-
হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ডের মতো শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
-
এসটিইএম (STEM) বিষয়ে স্নাতকদের জন্য ৩ বছর পর্যন্ত Optional Practical Training (OPT) সুবিধা।
-
প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশাল কর্মসংস্থান বাজার।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
ওয়ার্ক পারমিট (১২–৩৬ মাস)
২. কানাডা
কেন সেরা:
-
উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা ও বহুজাতিক সংস্কৃতি।
-
Post-Graduation Work Permit (PGWP)-এর মাধ্যমে স্নাতক হওয়ার পর ১–৩ বছর কাজের সুযোগ।
-
স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার শক্তিশালী সুযোগ।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
ওয়ার্ক পারমিট (সর্বোচ্চ ৩ বছর)
৩. জার্মানি
কেন সেরা:
-
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে পড়াশোনা।
-
প্রকৌশল, অটোমোটিভ এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা।
-
স্নাতকদের জন্য উদার ১৮ মাসের চাকরি খোঁজার ভিসা।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
১৮ মাসের চাকরি সন্ধান ভিসা
৪. অস্ট্রেলিয়া
কেন সেরা:
-
গবেষণামূলক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ।
-
Temporary Graduate Visa (subclass 485)-এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪ বছর কাজের সুযোগ।
-
স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও হোটেল ব্যবস্থাপনায় ভালো চাকরির বাজার।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
২–৪ বছর
৫. যুক্তরাজ্য
কেন সেরা:
-
বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ ডিগ্রির উচ্চ মর্যাদা।
-
Graduate Route ভিসায় ২–৩ বছর কাজের সুযোগ।
-
অর্থনীতি, গণমাধ্যম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বায়োমেডিকেল বিজ্ঞানে ভালো চাকরির সুযোগ।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
২ বছর (পিএইচডি হলে ৩ বছর)
৬. নিউজিল্যান্ড
কেন সেরা:
-
নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ।
-
স্নাতকদের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছরের কাজের সুযোগ।
-
কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে কর্মসংস্থান।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
সর্বোচ্চ ৩ বছর
৭. আয়ারল্যান্ড
কেন সেরা:
-
গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের সদর দফতর।
-
মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের জন্য ২ বছরের Graduate Scheme।
-
ইংরেজিভাষী ও দ্রুত এগিয়ে চলা অর্থনীতি।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
১–২ বছর
৮. ফ্রান্স
কেন সেরা:
-
সাশ্রয়ী টিউশন ফি ও প্রাণবন্ত সংস্কৃতির দেশ।
-
চাকরি খোঁজা বা ব্যবসা শুরুর জন্য ১ বছরের ভিসা।
-
ফ্যাশন, বিলাসবহুল পণ্য, প্রকৌশল ও ব্যবসায় শক্তিশালী উপস্থিতি।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
১ বছর (প্রয়োজনে বাড়ানো যায়)
৯. নেদারল্যান্ডস
কেন সেরা:
-
ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনার প্রচুর সুযোগ।
-
Orientation Year (Zoekjaar) ভিসায় ১ বছর থাকার অনুমতি।
-
লজিস্টিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স ও প্রকৌশলে চাকরির সুযোগ।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
১ বছর (Zoekjaar)
১০. সুইডেন
কেন সেরা:
-
টেকসই উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব।
-
স্নাতকদের জন্য ১২ মাসের কাজের অনুমতি।
-
চাহিদাসম্পন্ন খাত: আইটি, পরিষ্কার জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা।
পড়াশোনার পর কাজের ভিসা:
১২ মাস
আবির