ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১১ আগস্ট ২০১৭

কবিতা

বেঁচে থাকা অজামিল বণিক যে মানুষ উড়তে জানে পাখির মতোন উড়তে উড়তে ছুঁয়ে ফেলে একদা আকাশ অতঃপর একদিন নিজেই নক্ষত্র হয়ে যায় আকাশের, তাকেই বেঁচে থাকা বলে। মানুষ কি উড়তে জানে? জানে বটে, যার আছে ঝিলমিল প্রজাপতি-রঙিন পাখা কল্পনার; এ পাখায় ভর করে শুধুমাত্র মানুষই বেঁচে থাকতে জানে। অন্যেরা সবটিকে থাকে মাটি আঁকড়ে সহায়-সম্পদে, বেঁচে-থাকা হয় না তাদের। পথের গল্প মুহাম্মদ ফরিদ হাসান আমি হাঁটছি, তুমিও হাঁটছো একা একা। দুজনের এক পথ এক নদী এক ঠোঁট তোমার মেরুন শাড়ি, পিচঢালা পথ, গোপন চুমু আমি মেরুন রং, পিচঢালা পথে চুমুর বিহ্বলতা তবু আমি পথ নই তোমার, আমি নই তুমি তিনে তিনে আমরা হই পাঁচ। আমি হাঁটছি পায়ের তলায় একই পৃথিবী একই মাটি ঝরঝরে বাতাস, ধুলোবালি, আদা চা, জলপাই ঘুড়ি এখন তুমি হাঁটছো মন্থর পা, পিঁপড়ের পায়ে হাঁটা। এতটা পথ হেঁটেছি কথা ও রোদের লোভে, চাহনী... অথচ তুমি ঘোর অন্ধ কতটা বছর... হাঁটতে হাঁটতে আমি পথিক পুড়ে গেছে ছায়া, দূরে তোমার মুখ পথ এক-তুমি ওপাশ, আমি সূর্যের দিকে আলাদা আলাদা- একা, কী অদ্ভুত নীরবতা!
×