![রান্নাবান্না- রান্নাবান্না-](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023January/4-2301291929.jpg)
.
হাতে কাটা সেমাই পিঠা
যা লাগবে : আতপ চালের গুঁড়া- ২কাপ, পানি- ২কাপ (কাই করার জন্য), তরল দুধ- ৩লিটার, খেজুর গুড়- ২কাপ (পছন্দ মতো), নারিকেল কোড়া- ১ বা ২ কাপ, দারুচিনি- ২পিস, এলাচ- ৩টা, লবণ স্বাদমতো।
যেভাবে করবেন : প্রথমে একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে স্বাদ মতো লবণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে এতে চালের গুঁড়া দিয়ে লো আঁচে ৩ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ঢাকনা উঠিয়ে নেড়ে চুলার জ্বাল বন্ধ করে আরও ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার খামিরটা গরম থাকা অবস্থায় হাতের পাঞ্জা দিয়ে ভালো করে মথে সফট একটি ডো তৈরি করুন। ডো থেকে অল্প করে নিয়ে হাত দিয়ে ডলে ডলে লম্বা রসির মত করে নিন। পরে হাত দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে আরেক হাতের আঙুলে ডলে ডলে সেমাই করে নিন।
এবার চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে এতে দুধ, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে কিছু সময় জ্বাল করে দুধটা একটু ঘন করে নিন। এবার এতে খেজুরের গুড়, নারিকেল দিয়ে আরও কিছু সময় জ্বাল করুন। পিঠাগুলো দিয়ে আলতোভাবে নেড়ে দিন যাতে পিঠাগুলো দলা পাকিয়ে না যায়। ৫ মিনিট জ্বাল করে একটু ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। এই পিঠা শীতের সকালে ঠান্ডা ঠান্ডা খেতেই ভীষণ মজা।
রাজ দোল্লা পিঠা
যা লাগবে : আতপ চালের গুঁড়া- ৪ কাপ, জ্বাল করা ঘন দুধ- ২ কাপ, খেজুরের গুড়- দেড় কাপ (মিষ্টি আপনার পছন্দমতো), নারকেল কোড়া- ২ কাপ, লবণ- সামান্য, ঘি- সামান্য।
যেভাবে করবেন : প্রথমে চুলায় একটি পেন গরম করে চালের গুঁড়ার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। তাতে গুড় দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে গরম করা ঘন দুধ ও নারিকেল দিয়ে ভালো করে নেড়ে চুলার জ্বাল বন্ধ করতে হবে। এবার ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ঢেকে রাখুন। অন্য একটি পাত্রে গরম অবস্থায় মিশ্রণটি নিয়ে ভালো করে হাতের পাঞ্জা দিয়ে নরম একটা ডো তৈরি করুন। এখন হাতে সামান্য ঘি নিয়ে রাউন্ড শেপ দিয়ে পিঠাগুলো বানিয়ে নিন। চুলায় একটি পানিসহ হাঁড়ি বসিয়ে তার ওপর একটি ছিদ্র করা ঝাজর বসিয়ে, তার মধ্যে একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় বিছিয়ে দিতে হবে। এবার এর উপরে পিঠাগুলো সাজিয়ে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঢেকে দিন (অনেকটা ভাপা পিঠার মতো)। ১৫ থেকে ২০ মিনিট জ্বাল করুন। ব্যস, হয়ে গেল। এবার ঠা-া করে পরিবেশন করুন দারুণ মজার বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজদোল্লা পিঠা।
ঝাল পুলি পিঠা
যা লাগবে : আতপ চালের গুঁড়া- ২ কাপ, পানি- পরিমাণমতো (খামিরের জন্য), মুরগির বুকের মাংস- হাফ কাপ (লবণ ও আদা-রসুন দিয়ে সিদ্ধ করা), পরিমাণ মতো আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুড়া, গরম মসলা গুঁড়া, সবধরনের সবজি কুচি- ৩ কাপ, পিঁয়াজ কুচি- ১/৪ কাপ, কাঁচা মরিচ- ৪ টা, স্বাদমতো লবণ, ধনে পাতা কুচি পরিমাণ মতো, তেল- ৩ টেবিল চামচ।
পুর তৈরির পদ্ধতি : চুলায় প্যান বসিয়ে গরম হয়ে এলে তেল দিয়ে সামান্য আদা-রসুন বাটা ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। এবার পিঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে এতে বাকি গুঁড়া মসলাগুলো এড করে নিন। একটু পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সিদ্ধ মাংসগুলো দিয়ে কিছু সময় ভেজে নিয়ে সবজিগুলো দিয়ে দিন।
খামির ও পিঠা তৈরির পদ্ধতি : চুলায় একটা প্যানে পানি বসিয়ে ফুটে এলে এতে সামান্য হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও স্বাদমতো লবণ এড করে নিন। এবার চালের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিট চুলায় জ্বাল বন্ধ করে রেখে দিন। শুকনো গুঁড়া হলে ১ কাপ পানি লাগবে। এবার খামিরটা গরম থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে ভালো করে মথে একটি সফট ডো তৈরি করে নিন। এবার ছোট ছোট রুটি বানিয়ে তার মাঝে পুর দিয়ে, পুলি পিঠার ডিজাইন করে পিঠাগুলো বানিয়ে নিন। একটু সময় নিয়ে ডুবু তেলে মাঝারি আঁচে হালকা লাল করে পিঠাগুলো ভেজে নিন।
খেজুর গুড়ের পায়েস
যা লাগবে : পোলাও চাল ২ মুষ্ঠি; তরল দুধ ২ লিটার; খেজুর গুড় হাফ কাপ (মিষ্টি আপনার পছন্দমতো); লবণ ১ চিমটি; দারুচিনি ২ পিস; এলাচ ৪টি, তেজপাতা ১টি; বাদাম কুচি (ডেকোরেশনের জন্য)।
যেভাবে করবেন : প্রথমে চালগুলো ভালো করে ধুয়ে ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। একটি হাঁড়িতে দুধ, তেজপাতা, এলাচ, দানরুচিনি দিয়ে কিছু সময় জ্বাল করতে হবে। এবার এতে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা পোলাও চাল সামান্য লবণ দিয়ে একটি স্পেচুলার সাহায্যে নেড়েচেড়ে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করতে থাকুন। চাল যখন ফুটে আসবে তখন একটি ঘুঁটনির সাহায্যে ঘুঁটে খেজুরের গুড় যুক্ত করে নিন। আরও কিছু সময় নেড়েচেড়ে হাল্কা অঁাঁচে জ্বাল করুন। একটু ঘন হয়ে এলেই চুলা থেকে নামিয়ে নিন। কারণ এটা ঠান্ডা হলে আরও কিছুটা ঘন হয়ে আসবে। এবার উপরে বাদাম কুচি দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন দারুন মজার খেজুর গুড়ের পায়েস। এটা ঠান্ডা ঠান্ডা খেতেই বেশি মজা।