ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কম ঘুমালেও বিপদ, বেশি ঘুমালেও বিপদ! জেনে নিন কী করতে হবে

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৪:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কম ঘুমালেও বিপদ, বেশি ঘুমালেও বিপদ! জেনে নিন কী করতে হবে

ঘুম

কথায় আছে ঘুম নাকি পৃথিবীর স্বর্গ। অবশ্য ঘুমের পরিমাণ বেশি হলে স্বর্গ আর স্বর্গ থাকে না। অন্যদিকে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও স্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতিকর। চিকিৎসা শাস্ত্রে ঘুমের আদর্শ নিয়ম আছে। সময় রয়েছে ঘুমের জন্য। জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

বেশি ঘুমের কারণে শরীরে ডায়াবিটিস এবং হার্টের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া এতে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কম ঘুমানোর কারণে কর্মদক্ষতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি অবসাদ জেঁকে বসে। তাই সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।

মার্কিন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, কম ঘুম ও অতিরিক্ত ঘুম উভয়ের ফলে হৃদরোগ, স্থূলতা, উদ্বেগ-সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ ও ওবেসিটি দেখা দেয়। এসব সমস্যা অবশ্য পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। আবার ঘুমের মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগ, স্থূলতা, উদ্বেগ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।

তার মধ্যে আবার ছেলে এবং মেয়েদের ঘুমের ধরনই একেবারে আলাদা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব চেয়ে বড় পার্থক্য হল, ঘুম আসার সময়। অর্থাৎ, সারা দিন ধরে ঘরে বাইরে নানা রকম কাজ করার পর, শুয়ে পড়লেই যে মহিলাদের চোখে ঘুম চলে আসবে এমনটা না-ও হতে পারে।

মানসিক অবসাদে থাকা মানুষ অনেক সময় বেশি ঘুমায়। বেশি ঘুমে মানসিক অবসাদ আরও বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে খুব কম বা খুব বেশি সময়ের ঘুম মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে।

যারা ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়ায় ভুগছেন তারা দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে খুব ক্লান্ত বোধ করেন এবং তাদের শরীরে ব্যথা ও ক্র্যাম্প শুরু হয়।

সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকরা বরাবরই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। তার বেশিও না, কমও না। 

এসআর

×