
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। এটি এমন একটি সমস্যা, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, স্ট্রোক এমনকি কিডনির জটিলতা ডেকে আনতে পারে। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার যুক্ত করলেই রক্তচাপ কমে যেতে পারে প্রাকৃতিকভাবেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি উপকারী খাবার সম্পর্কে—
১. কলা
পটাশিয়ামে ভরপুর কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধারণ কার্যকর। এটি শরীরের সোডিয়াম ব্যালেন্স করে এবং ধমনীকে প্রশস্ত রাখে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
২. রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ ধমনীকে আরাম দেয় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এটি প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়াটা বেশ উপকারী।
৩. ওটস
ওটসে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার ও কম সোডিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। সকালের নাশতায় ওটস খাওয়ার অভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চাইলে ফল, বাদাম বা দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪. বিটরুট
বিটরুটে থাকা নাইট্রেট ধমনী প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এটি জুস করে বা রান্নায় যুক্ত করে খাওয়া যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিট জুস পান করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
৫. ডার্ক চকলেট
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। অল্প পরিমাণ ডার্ক চকলেট খাওয়ার মধ্যেও রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের গুণ। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষ পরামর্শ:
উল্লিখিত খাবারগুলো যতই উপকারী হোক, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও নিয়ম মেনে চলা জরুরি। পাশাপাশি, নিয়মিত হাঁটা, স্ট্রেস কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম—এগুলোও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলীম