ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

আপনি কি ফোন ‘সাইলেন্ট’ রাখেন? তাহলে জেনে নিন আপনি কতোটা ব্যতিক্রমী!

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:৪৪, ২৫ জুন ২০২৫

আপনি কি ফোন ‘সাইলেন্ট’ রাখেন? তাহলে জেনে নিন আপনি কতোটা ব্যতিক্রমী!

ছবি: সংগৃহীত।

সাইলেন্ট মোডে ফোন রাখেন যারা—তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে থাকে ইতিবাচক প্রভাব!

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যারা নিয়মিত মোবাইল ফোন ‘সাইলেন্ট মোডে’ রাখেন, তাদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক পরিপক্বতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং স্থিরচেতনা লক্ষ করা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার কিউঙ হি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ফোনের আওয়াজ কমিয়ে দিলে কাজের সময় মনোযোগ এবং মানসিক প্রশান্তি—দুটোই বাড়ে।

ছোট ছোট বিরতি, বড় ফলাফল

গবেষণায় অংশ নেওয়া কর্মীরা জানান, কাজের মাঝে ফোনের সাইলেন্ট মোডে থাকলে তারা প্রাকৃতিকভাবে বিরতি নিতে পারেন, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক।

মনোযোগে বিঘ্নের হার কমে

বিশেষজ্ঞরা জানান, একবার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটলে পূর্ণ ফোকাস ফিরে পেতে গড়ে ২৩ মিনিট সময় লাগে। ফোনে বারবার টোন বা ভাইব্রেশন মনোযোগ ছিন্ন করে দেয়। সাইলেন্ট মোড এই সমস্যা দূর করে।

আরও বেশি সচেতন ও মাইন্ডফুল

ফোনে অবিরাম বিজ্ঞপ্তি না এলে মস্তিষ্ক স্বস্তি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সাইলেন্ট মোডে অভ্যস্ত, তারা সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস, মেডিটেশন কিংবা নিজের অনুভূতির দিকে বেশি মনোযোগী থাকেন।

মানসিক স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা

টানা আওয়াজ বা বিরক্তিকর নোটিফিকেশন শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা স্ট্রেস তৈরি করে। সাইলেন্ট মোড ব্যবহারকারীদের মধ্যে এসব প্রতিক্রিয়া কম হয়, যার ফলে ঘুমও ভালো হয়।

গভীর সামাজিক সংযোগ

সাইলেন্ট মোডে ফোন রাখলে একান্ত আলাপচারিতায় বিঘ্ন ঘটে না। এতে কথোপকথনের গভীরতা বাড়ে, সম্পর্ক মজবুত হয়, এবং ব্যক্তি হয়ে ওঠেন ‘ভালো শ্রোতা’।

পরিপক্ব আত্মজ্ঞান

এই অভ্যাস আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পরিচায়ক। সাইলেন্ট মোড ব্যবহারকারীরা জানেন কখন প্রযুক্তিকে পাশে রাখতে হবে, আর কখন নিজের দিকে ফিরে তাকাতে হবে।

ফোন সাইলেন্টে রাখা মানেই প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা নয়, বরং এটি নিজের মনোযোগ এবং মানসিক শান্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার সচেতন সিদ্ধান্ত। এই ছোট অভ্যাস জীবনে এনে দিতে পারে বিশাল ইতিবাচক পরিবর্তন।

সূত্র: Earth.com

সায়মা ইসলাম

×