ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য

জাপানে কর্মক্ষেত্রে ৬ বছরে সর্বোচ্চ মানসিক রোগের রেকর্ড, মারধর-অপমান প্রধান কারণ!

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৭, ২৫ জুন ২০২৫

জাপানে কর্মক্ষেত্রে ৬ বছরে সর্বোচ্চ মানসিক রোগের রেকর্ড,  মারধর-অপমান প্রধান কারণ!

ছবিঃ সংগৃহীত

জাপানে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মানসিক রোগের ঘটনা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কিয়োডো নিউজ জানায়, ২০২৪ অর্থবছরে মানসিক অসুস্থতার ১,০৫৫টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭২টি বেশি।

এই ঘটনাগুলোর মধ্যে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ছিল ৮৮টি, যা আগের বছরের তুলনায় ৯টি বেশি।

স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতন। এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে ২২৪ জন মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

এরপরেই রয়েছে দায়িত্ব বা কাজের পরিধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন, যার কারণে ১১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রাহকদের দ্বারা শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতন—এই কারণে ১০৮টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টি ঘটনায় নারী কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান,
“কর্মস্থলে মানবিক সম্পর্কের টানাপড়েন ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে অনেকেই তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন।”

পেশাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী
সর্বাধিক মানসিক রোগজনিত ক্ষতিপূরণ দাবির ঘটনা ঘটেছে সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ খাতে, যেখানে মোট ২৭০টি মামলা রেকর্ড হয়েছে।

বয়সভিত্তিক বিবরণে দেখা যায়:

  • ৪০-এর কোঠার কর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি — ২৮৩ জন

  • ৩০-এর কোঠায় — ২৪৫ জন

  • ২০-এর কোঠায় — ২৪৩ জন

রেকর্ড সংখ্যক হুপিং কাশিতেও আক্রান্ত জাপান

অন্যদিকে, হুপিং কাশি (Whooping Cough) বা কোকলাস রোগের ক্ষেত্রেও জাপানে এবার রেকর্ড সংক্রমণ দেখা গেছে।
জাপানের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সিকিউরিটি’র তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩১,৯৬৬ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন — যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় আট গুণ বেশি।

মাত্র এক সপ্তাহেই (১৫ জুন শেষ সপ্তাহ) আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২,৯৭০ জন। তার আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৩,০০০ ছাড়িয়ে, যা ২০১৮ সালের পর প্রথম।

২০২৪ সালে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল প্রায় ৪,০০০ জন। আর ২০১৯ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৬,৮৪৫ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এবং সময়মতো ভ্যাকসিন ও সচেতনতা জরুরি।

সূত্রঃ আনাদলু

ইমরান

×