
গরমে কারও শান্তি নেই। তার উপর বাতাসের বাড়তি জলীয় বাষ্প ঘামের সমল্যায় নাজেহাল করে রেখে দিয়েছে। গরমে ঘাম হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। একদিকে গরম, তার সঙ্গে ঘাম (Sweating) নিত্যদিনের জীবনকে রীতিমতো অস্বস্তির করে তোলে।
ঘামের ফলে যে দুর্গন্ধের (Body Odor) সৃষ্টি হয়, তা যেমন আপনাকে অপ্রস্তুত করে তোলে, পাশাপাশি মানুষজনের কাছেও সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। এককথায় বলতে গেলে গরমে অতিরিক্ত ঘাম খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। এক্ষেত্রে কিছু টিপস রয়েছে যেগুলি অনুসরণ করলে, ঘামের পরিমান কমানো যায়। চলুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।
১. টমেটোয় প্রচুর পরিমানে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে৷ টানা এক সপ্তাহ রোজ খান টমেটোর রস খেলে ঘাম অনেক কম হবে৷
২. এক গ্লাস জলে দুই টেবল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশান৷ এরপর সেই মিশ্রণে রাতে শুতে যাওয়ার আগে তুলো দিয়ে ভিজিয়ে ঘাড়, বগল, হাত ও পায়ের তালুতে লাগান৷ সকালে উঠে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ঘাম অনেক কম হবে৷
৩. গরম কালে লঙ্কা, তেল, ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার গরমে কম খান৷ কারণ এই খাবারগুলি শরীর গরম করে৷ আর শরীর সেই গরম ঘামের মাধ্যমে বের করে। তাই এই খাবারগুলি গরমকালে এড়িয়ে চললে ঘাম কম হবে। এছাড়া গরমকালে যেহেতু পেটের সমস্যাও দেখা দেয়, তাই এই খাবারগুলি গ্রীষ্মে না খাওয়াই ভাল।
৪. ঝালের মতো অতিরিক্ত নুন খাওয়াও বেশি ঘাম হওয়ার একটি কারণ৷ শরীর ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত নুন বের করে দেয়৷ তাই গরমে নুন কম খেলে ঘামের পরিমানও কমে যাবে।
৫. কাজের চাপ বর্তমান সময়ে জীবনের অঙ্গ। আর এই স্ট্রেস, চাপ, টেনসন বেশি হলে ঘামের পরিমানও বেড়ে যায়৷ তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা সময় মেডিটেশন করুন। বড় করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এতে মানসিক চাপ কমে, ফলে ঘামও কমবে। আর মেডিটেশন আপনাকে মানসিক দিক থেকেও সুস্থ রাখবে।
সজিব