
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আগাম হামলার সতর্কতা দেওয়ার জন্য। এতে প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
গত সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রবল আলোর ঝলকানি দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমন দৃশ্য তারা আগে কখনো দেখেননি। ওই রাতেই দোহা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
এই ঘাঁটিকে বলা হয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। এখানে প্রায় ৮ হাজার মার্কিন সেনা এবং কিছু ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন রয়েছেন। ঘাঁটি থেকেই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আকাশপথে বিভিন্ন সামরিক অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
কাতার সরকার নিশ্চিত করেছে, হামলার আগেই সতর্কতা পেয়ে ঘাঁটিটি খালি করে ফেলা হয়, ফলে কেউ নিহত বা আহত হননি। হামলার দায় স্বীকার করে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস জানায়, আমেরিকার পরমাণু স্থাপনায় হামলার জবাবেই এই প্রতিক্রিয়া। তারা বলে, “আমাদের সার্বভৌমত্বে হামলার জবাব না দিয়ে ইরান বসে থাকবে না। এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলো তাদের শক্তি নয়, বরং দুর্বলতা।”
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ইরানের প্রতিক্রিয়া দুর্বল ছিল। তারা মোট ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মধ্যে ১৩টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।” হামলায় কোনো আমেরিকান বা কাতারি নাগরিক হতাহত হননি বলে দাবি করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাই আগাম হামলার বিষয়ে অবহিত করার জন্য। এতে প্রাণহানি এড়ানো গেছে।”
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে কাতার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটডাটা২৪ জানায়, হামলার ঠিক আগ মুহূর্তে দোহার আকাশে প্রায় ১০০টি ফ্লাইট চলমান ছিল। হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর, সেখানেও পরিস্থিতি ছিল চরম উত্তেজনাপূর্ণ।
আসিফ