ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

গরমে খাবারে বিষক্রিয়া এড়াতে রান্না ও সংরক্ষণে মেনে চলুন এই ৪টি নিয়ম

প্রকাশিত: ১২:০২, ১৮ জুন ২০২৫

গরমে খাবারে বিষক্রিয়া এড়াতে রান্না ও সংরক্ষণে মেনে চলুন এই ৪টি নিয়ম

ছবি: সংগৃহীত।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়, যা বাড়িয়ে দেয় ফুড পয়জনিং বা খাবারে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি। শুধু রাস্তার খাবার নয়, সঠিকভাবে সংরক্ষণ বা প্রস্তুত না করলে বাড়ির রান্নাও হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। বিশেষ করে গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রা ও বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়টিতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

এই বিষয়ে ভারতের মেডান্তা হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোসার্জারি বিভাগের পরিচালক ডাঃ আজহার পারভেজ জানান, “গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রা খাবার দ্রুত নষ্ট করে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ‘ডেঞ্জার জোন’ ৪° থেকে ৬০° সেলসিয়াসের মধ্যে, যা গরমের দিনে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যেতে পারে।”

ডাঃ পারভেজের ৪টি কার্যকর প্রতিরোধমূলক টিপস:

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন: রান্নার আগে-পরে, কাঁচা মাংস বা মাছ ছোঁয়ার পর ও টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। রান্নাঘরের জিনিসপত্র, কাটিং বোর্ড ও বাটিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কাঁচা ও রান্না করা খাবারের মধ্যে সংক্রমণ যেন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

২. সঠিকভাবে রান্না করুন: মাংস, মাছ বা মুরগি রান্নার সময় অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তা ফুড থার্মোমিটার দিয়ে নিশ্চিত করুন। রান্না করা খাবার আবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে গরম করে নিন যাতে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।

৩. দ্রুত ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন: রান্না করা খাবার বা পচনশীল খাবার ১-২ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রাখুন (অত্যধিক গরমে ১ ঘণ্টার মধ্যে)। ফ্রিজের তাপমাত্রা যেন ৪°C বা তার নিচে থাকে তা নিশ্চিত করুন। অবশিষ্ট খাবার ৩-৪ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলুন এবং দীর্ঘ সময় বাইরে থাকলে তা ফেলে দিন।

৪. ফল ও সবজি ধোয়ার নিয়ম: ফল ও সবজি ধুয়ে নিন পরিষ্কার পানি দিয়ে, সম্ভব হলে ফুটন্ত বা ফিল্টারকৃত পানি ব্যবহার করুন। অপরিশোধিত বরফ, কাঁচা জুস বা রাস্তার পানীয় এড়িয়ে চলুন।

বিশেষ সতর্কতা যেসব খাবারে দরকার:

কাঁচা সালাদ, কাটা ফল, ঠান্ডা কাট খাবার বা মেয়োনিজ-ভিত্তিক রান্না দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার খাবার খাওয়ার সময় সাবধান থাকুন, কারণ অনেক বিক্রেতা ঠান্ডা রাখার নিয়ম মানেন না বা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন না।

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সময় কখন: বারবার বমি হলে বা কিছুই খেতে না পারলে। ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ যেমন ঘন ঘন প্রস্রাব না হওয়া, দুর্বলতা, অতিরিক্ত তৃষ্ণা বা মুখ শুকিয়ে যাওয়া দেখা দিলে। জ্বর উঠলে। পায়খানায় রক্ত এলে। তীব্র পেটব্যথা বা নারীদের ক্ষেত্রে তীব্র প্যালভিক ব্যথা হলে।

দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে প্রকাশিত। কোনো শারীরিক সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: https://short-link.me/14UBr

মিরাজ খান

×