ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ফিজিক্যাল ফিটনেসে উদাসীনতা মানেই মানসিক অস্থিরতা?

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১৮ জুন ২০২৫

ফিজিক্যাল ফিটনেসে উদাসীনতা মানেই মানসিক অস্থিরতা?

মানসিক সুস্থতা ও শারীরিক ফিটনেস—এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য ও জীবনধারা বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা শারীরিক ফিটনেস নিয়ে একেবারেই কাজ করছেন না, তারা অধিকাংশ সময়েই মানসিকভাবে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।

মেন্টাল ফিটনেস মানে শুধু দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা নয়, বরং নিজের ভালো-মন্দ বোঝার সক্ষমতা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার সামর্থ্য। মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষ জানেন, তার শরীরের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি। ফলে তিনি ফিজিক্যাল ফিটনেসে গুরুত্ব দেন।

যদি কেউ এমন সব কাজ করেন যা তার শরীরের ক্ষতি করছে—যেমন অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার প্রতি উদাসীনতা, কিংবা নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার—তাহলে ধরে নেওয়া যায়, তিনি মানসিকভাবে এখনো সুস্থ অবস্থানে নেই।
হ্যাঁ, কখনো কখনো খারাপ সঙ্গ বা বদভ্যাস একজন মানুষকে ক্ষতির পথে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু যদি কেউ তা বুঝেও সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা না করেন, তবে সেটি মানসিক অক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যারা ফিজিক্যাল ফিটনেস নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন—ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সময়মতো বিশ্রাম—তারা সাধারণত মেন্টালি ফিট। কারণ তারা নিজের উন্নতি এবং সুস্থতা সম্পর্কে সচেতন। শুধুমাত্র আর্থিক উন্নতি নয়, একজন মেন্টালি ফিট মানুষ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকেও সমান গুরুত্ব দেন

 

 

সানজানা

×